
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিংড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরানের সাথে আপত্তিকর ছবির সেই মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে দাবী করেছেন তিনি। পাশাপাশি যারা ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি।
রবিবার বেলা ১১টায় নাটোরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান কামরান ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সেই মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে দাবী করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কামরানের প্রথম স্ত্রী শিউলি খাতুন, দ্বিতীয় স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি সহ শ্বশুর বাড়ি এবং পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা কামরান দাবী করে বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টির ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এতে করে তার মানহানী হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি
তিনি আরও বলেন, তার ব্যক্তিগত ছবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা, তার ভাই শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল সহ অন্যরা ভাইরাল করে দেয়। সেখানে আপত্তিকর কথা-বার্তাও লেখা হয়। পরবর্তী প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মনী তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
তবে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে যারা মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে দেওয়ার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি। পরবর্তীতে আইসিটি আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কামরানের দ্বিতীয় স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার এবং আমার স্বামীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে যারা আমাদের মান সম্মানহানি করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
