
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিধিবহির্ভুত ভাবে নাটোরের লালপুরের পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বেতন বিলে স্বাক্ষর করায় নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলীর আকন্দের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে গত ৬ আগস্ট নাটোর যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক ইতোপূর্বে নাটোর যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ একটি মামলা রুজু করেন। যার নম্বার ৪৮/২০১২ অঃপ্রঃ।
আদালত বিবাদী জলি আক্তারী ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ ও দায়িত্ব পালনে অর্ন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল করেন। কিন্তু তিনি আদালত কর্তৃক উক্ত আদেশ দীর্ঘদিন ধরে লংঘন করে অবৈধভাবে নিয়োগ নেন এবং প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে কাজ করে যান। এ অবস্থায় বাদীগন পুনরায় আদালত লংঘনের দায়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৯১/২০১২। উক্ত মামলা দুটিই চালমান রয়েছে।
এরপর পূর্বোক্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন বীরমুক্তিযোদ্ধা এমরান আলী। সভাপতি হিসেবে তিনি এবং তাঁর নেতৃত্বে কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ জলি আক্তারিকে গত ১৬ জুলাই তারিখে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মোর্কদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পদ হইতে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেন। যার অনুলিপি উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং জেলা পর্যায়ের সকল শিক্ষা অফিসে রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়।
সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ জলি আক্তারী ঈদুল আযহা’র বোনাস বিলে সভাপতির স্বাক্ষর নিতে পাঠালে তিনি সাময়িক অব্যাহতি/ বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত কোন বিলে স্বাক্ষর করতে পারেন না মর্মে জানিয়ে দেন।
প্রধান শিক্ষক মোছাঃ জলি আক্তারী পরে গত ২৯ জুলাই তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ কে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে বোনাস উত্তোলন করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত সালের ৫ অক্টোবর তারিখের স্মারক নং শিম/শা-১১/২(২)১১(অংশ-১)/ সংখ্যক পত্রে দেখা যায়, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি নেই সে সব প্রতিষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের প্রতিস্বাক্ষরে বেতন-বোনাস উত্তোলন করা যাবে। এ অবস্থায় জেলা শিক্ষা অফিসার কোন বিধান মতে উক্ত বিলে স্বাক্ষর করলেন এ বিষয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ফলে এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে পুনরায় গত ৬ আগষ্ট তারিখে নাটোর যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ তাঁর বিরুদ্ধে এ মোকর্দমা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জানান, বিধি সম্মতভাবেই পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বেতন বিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
