
অভিমানী
জাকির মুন্সী
সেই ছোটবেলা থেকে একসাথে পথ চলা
কখনো বিদ্যালয়ে, কখনো গ্রামের পথ ধরে
একসাথে কতো আনন্দঘন সময় কাটিয়েছি।
বুঝতেই পারিনি কখন যে
দুজনের মাঝে বেশ বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো।
কোন দিন ভাব বিনিময়ে বিপত্তি ঘটলে
মনে হতো বিরহের অতলে পড়ে আছি
না খাওয়া,না ঘুম, না পড়ালেখা
কোন কিছুতেই মন বসতো না
সবকিছুতে যেন মহাপ্রলয় শুরু হয়ে যেতো।
কোন এক সময় মোবাইলটা বেজে উঠলো
যখন ফোন আসার কথা ঠিক তখনি এসেছে।
তবে সেদিন কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পড়লাম
আগের ন্যায় মনের অভিপ্রায় ব্যক্ত হলো না।
খানিকটা সময় পর ব্যস্ততাকে দূরে ফেলে
হৃদয়ের অনুভূতির কাছে পরাজয় মেনে নিয়ে
বত্রিশ ঘণ্টায় জমে থাকা কল্পনাগুচ্ছের
বিনিময় ঘটাতে কিছুটা অস্থির হয়ে পড়লাম।
পকেট থেকে মোবাইলটা হাতে নিলাম
যথারীতি যোগাযোগ রক্ষার প্রয়াস
কিন্তু ওপার থেকে কোন সাড়া মেলেনি
ব্যর্থ হয়ে ভাবলাম হয়তো কিছুক্ষণ পর
নয়তোবা প্রত্যূষে অথবা মধ্যাহ্নে সাড়া দিবে।
এক এক করে কয়েক সপ্তাহ অতিক্রম হলো
কিছুতেই সেই মিষ্টি সুর হৃদয়ে দোলা দিচ্ছেনা।
কোন এক অনুষ্ঠানে হঠাৎ দুইজন মুখোমুখি
কিছু জানতে চাইলাম কিন্তু কোন শব্দ নেই
শুধু নয়নের জলে কপোল জোয়ারে সিক্ত
বুঝিলাম আঁখির সলিলে অভিমানের সমাপ্তি
তখনই তার নাম দিলাম অভিমানী।
