
নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
নাটোরের লালপুরে ৭০পিচ ইয়াবা ও এক গ্রাম হেরোইন সহ প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউপির নাওদারা গ্রামের হাজী মোহম্মাদ সাজদার আলীর বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে ওয়ালিয়া ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা।
আটককৃত মুরশিদা আক্তার প্রিয়া চৌধুরী ওয়ালিয়া গ্রামের মকছেদ শাহার মেয়ে ও চন্ডিপুর গ্রামের মমিনের ২য় স্ত্রী এবং রিংকু নাওদারাগ্রমের সাজদার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নাওদারা গ্রামে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাজ্জাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৭০পিচ ইয়াবা ও এক গ্রাম হেরোইনসহ হাজী সাজদার আলীর বাড়ি থেকে তাদের দুজনকে আটক করে।
প্রিয়া চৌধুরীর কথিত স্বামী রিংকুর বাবা সাজদার হাজী অভিযোগ করে বলেন- প্রায় এক মাস ধরে এই মহিলা (প্রিয়া চৌধুরী) আমার বাড়িতে আমার ছেলের বউ দাবি করে এবং আমার বাড়িতে থেকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি সহ জোরপূর্বক চেকে সই করে নেওয়া এবং দলিলে সই করে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে।
শনিবার সকালে আমাদের স্বামী স্ত্রীকে গলায় ছুরি ধরে একই চেষ্টা চালায়, আমরা বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, ঐ অসহায় দম্পতি মাদকাসক্ত ছেলে এবং চরিত্রহীন হত্যা মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত প্রিয়া চৌধুরী র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং নিজেদের নিরাপত্তা চান প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য- মুসলিমা আক্তার প্রিয়া (প্রিয়া চৌধুরী) বড়াইগ্রামের যুবদল নেতা আলোচিত ২০১৪ সালের সেন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামি, এছাড়াও ২০১৫ সালের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ড্রাইভার হত্যা করে পাজারো গাড়ি ছিনতাইয়ের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও ছিনতাই মামলা রয়েছে। প্রিয়া চৌধুরী ঢাকা বিশিষ্ট শিল্পপতি মৃত হাসান এর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বড়াইগ্রামের চন্ডিপুরের মৃত মফিজ হাজ্বির ছেলে সুদ ব্যবসায়ী মমিন উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এই মহিলা প্রথমে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে, তারপরে জোরপূর্বক টাকা পয়সা গহনা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এটাই তার ব্যবসা।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
