
ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে শত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ এবং এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভূতাপেক্ষ বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মাসে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরস্পর যোগসাজশে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা নিজে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যজনকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন, এমপিওভুক্ত করেছেন এবং বেতন ওঠানোর চেষ্টা করেছেন। এ কাজ করে তারা ১৯৪৭ সালে দুই নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তথ্য মতে, ২০১৪ সালে নাটোরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থাকাকালে নাটোরের লালপুরে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে প্রধান আসামি করে ৭টি মামলা করে। তবে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ দাবি করেছেন, তিনি জামিনে আছে এবং নির্দোষ।
দুদকের সমন্বিত রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর এই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় ৮টি মামলা করেন। এর মধ্যে ৭টি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় নাটোরের সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে। একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।
এদিকে ২০১৪ সালে এপ্রিলে নাটোর থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে ঝিনাইদহ জেলায় বদলি করা হয়। সেখান থেকে আগস্ট মাসেই তিনি নওগাঁয় বদলি হয়ে আসেন। এরপর ২০১৫ সালে আগস্টে তাকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়। এখন তিনি জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
