
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লিচু ক্রয় বিক্রয়ে আড়ত দিয়ে কমিশনের নামে চাঁদাবাজি চলবে না। কেউ বাড়তি কমিশন নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রবিবার লিচুর রাজধানী নামে পরিচিত নাটোরের গুরুদাসপুরের বেড়গঙ্গারামপুরে লিচু ব্যবসায়ী, বাগান মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই হুশিয়ারি দেন।
নিরাপদ লিচু উৎপাদন এবং বাজারজাত করা নিয়ে স্থানীয় বেড়গঙ্গারামপুর একটি লিচু বাগানে লিচু ব্যবসায়ী, আড়তৎদার সহ জড়িত সকলকে সাথে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এই সভায় বেশির ভাগ লিচু বাগান মালিক আড়ত মালিকদের কমিশন বাণিজ্যির বিষয়ে অভিযোগ করেন।
লিচু বাগান মালিকরা বলেন, বাগানে লিচু পেকে যাওয়ার কারনে বেশির ভাগ মালিক এখন লিচু সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়তে নিয়ে আসে। এখানে মোট ১৬টি আড়ত রয়েছে। এখানে গড়ে ৫০লাখ টাকার লিচু ক্রয়-বিক্রয় হয়। কিন্তু সমিতি কমিশনের নামে প্রত্যেক বাগান মালিকের কাছ থেকে এক’শ লিচু বিক্রি করলে ৮টাকা কমিশন নিচ্ছে। এছাড়া যে লিচু ক্রয় করছে তাকে আরও ৪টাকা এবং এক ঝাঁকা লিচু বিক্রি করলে আরও ৫টাকা কমিশন দিতে হচ্ছে। এতে করে কৃষকের লাভের টাকা তারা নিয়ে নিচ্ছে। এতে করে লিচু উৎপাদন করে কৃষকের লাভ হচ্ছে না।
মতবিনিময় সভা শেষে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, নিরাপদ লিচু উৎপাদন এবং বাজারজাত করা নিয়ে জেলা পুলিশ গতবছরের ন্যায় এবারও লিচু ব্যবসায়ী, আড়তৎদার সহ জড়িত সকলকে সাথে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে। তবে সভায় বেশির ভাগ লিচু বাগান মালিকদের অভিযোগ আড়তদাররা কমিশনের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। এতে করে কৃষকের লাভের একটা অংশ তাদের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার বলেন, কমিশনের নামে কোন চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। প্রাথমিক ভাবে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও বাড়তি কমিশন নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
