
জাহিদ হাসান, বড়াইগ্রাম
নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষি জমি নস্ট করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। আবার এসব ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৭টি ফসলি জমিতে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে। ভাটাগুলোয় আবাদি জমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) থেকে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ কারণে দিন দিন কৃষিজমি উর্বরতা হারাচ্ছে, হ্রাস পাচ্ছে উৎপাদন।
অধিকাংশ ভাটার সামনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে জ্বালানি কাঠ। ভাটাগুলোয় তা পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে মানুষ চর্ম, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকার গাছপালাও মারে যাচ্ছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বলেন, ইটভাটার ধোঁয়ায় এলাকায় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কের পাশেই দুই পাশে ফসলি জমিতে বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। গোধড়া থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মেসার্স এস.এম.কে, ব্রিকস, মোঃ মাসুদ রানা পাটোয়ারী, ব্রিকস ভাটা চোখে পড়ে। এগুলো কৃষি জমিতে স্থাপন করা। ভাটাগুলোয় স্তূপ করে রাখা হয়েছে কাঠ।
ভাটাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা নিজের পরিচয় গোপন রেখে কাগজপত্র আনার কথা বলে সটকে পড়েন। পরে তিনি বলেন- এনডিসি মোঃ জাকির মুন্সি ভাটার সবকিছু পরিদর্শন করে গেছেন। তিনিই সবকিছু বলতে পারবেন।
এলাকাবাসীরা জানান- পাশাপাশি দুটি ভাটা থাকার কারনে ‘ইটভাটার ধোঁয়ার কারনে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা মরে যাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুযায়ী দুই ফসলি ও কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা নিষেধ। তারপরও কতিপয় মহল আইন অমান্য করে দুই ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করছে। কৃষি জমিতে ইটভাটা করে থাকলে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
