Home জেলা সংবাদ গুরুদাসপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার

গুরুদাসপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার

642
0
গুরুদাসপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
নাটোরের গুরুদাসপুরে ব্রীজ নির্মানের পাথর দিয়ে সড়ক সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংস্কারে ব্যবহৃত ইট, বালু, পাথর অত্যন্ত নিন্মমানের বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, পৌরসভার মধ্যমপাড়া ব্রীজ থেকে এলাহীর মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কটি  দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নয়াবাজার মহাসড়ক থেকে পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে আসা পরিবহনসহ সড়কে চলাচলকৃত সব ধরনের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৯ লাখ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।
এ বিষয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইমরান আলী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মালামাল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই মাল দিয়ে কাজ করায় অফিসের কোন আপত্তি নেই। এতে নিউজ করে লাভ কি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক সংস্কারে যেসব ইট, বালু ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। ২ ও ৩ নং ইটের খোয়া ও নিম্নমানের বালু দিয়েই চলছে কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে নিম্নমানের কাজে সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া পুরনো কার্পেটিং তুলে সেখানেই পুনরায় রেখে ওপরে নতুন খোয়া দেওয়া হয়েছে। নিন্মমানের পাথর ও ডাস্ট বালি মেশানোর কাজ চলছে। যা নিয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।
হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলেও তা দেখার কেউ নেই। এ সামগ্রী ব্যবহারে সড়ক সংস্কারে কতটুকু টেকসই হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়কের কার্পেটিং কাজে এধরনের পাথর ব্যবহার করতে কোনদিন দেখিনি। অন্য ঠিকাদাররা ওই ধরনের পাথর দিয়ে তাদেরকেও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি তোলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আ. ন. ম  ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কাজটি উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ওই পাথর ও বালি সড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু কাজ ওই একই ভাবে চলছে।
নাটোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, এক্সপার্ট পাঠিয়ে খবর নেয়া হবে। খারাপ হলে পরিবর্তন করা হবে।
Previous articleনাটোরে করোনায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হওয়ার হার বেশি
Next articleবাগাতিপাড়ায় কারিগরিতে একমাত্র গোল্ডেন জিপিএ জোবাইদার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here