
নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর সভার ১হাজার ৫৪০ জন দুঃস্থদের মাঝে জন প্রতি ১৫ কেজি করে পবিত্র ঈদুল ফিতর উলক্ষে বরাদ্দের ভিজিএফএর চাউল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।
শনিবার (০১ জুন) সকালে সরেজমিনে গোপালপুর পৌর সভায় গিয়ে দেখা যায, পৌর এলাকার দুঃস্থ মানুষেরা ভিজিউফএর চাউল নেওয়ার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। দুইজন লোক পৌর সভার বারান্দাতে লাল রংএর বালতিতে করে চাউল দিচ্ছেন। এসময় পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন মেয়র। ভিজিএফএর চাল গ্রহীতা পৌর সভার বিরোপাড়া এলাকার বাবু নামের এক ব্যাক্তির ছেলের চাউলের বস্তাটি একটি ডিজিটাল দাঁড়িতে মেপে দেখা গেলো ৯ কেজি ৩৪ গ্রাম রয়েছে। যেখানে থাকার কথা ১৫ কেজি। অপরজন একই এলাকার শাহাবুলের চাউল মেপে দেখা গেছে ১০ কেজি ২৪৬ গ্রাম হয়েছে।
পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সুফিআন চাউল ওজনে কম দেওয়ার কথা স্বিকার করেন তবে এ ব্যাপারে পরিপূর্ন ব্যাখ্যা দেন নি।
এব্যাপারে কেশাবপুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক লিটু বলেন, ৬০ টা স্লীপের চাউল প্রতিটাতে ১২ থেকে সাড়ে ১২ কেজি করে পেয়েছেন, মেয়র এর আগেও কম করেই চাউর দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ইউএনও এবং সমস্ত পৌরসভার মধ্যেই আমি চাউল কম দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করেছি তার পরেও কম দিয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকার প্রতি গরীব দুঃস্থদের জন্য ১৫ কেজি করে ভিজিএফএর চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে কাউকে ৯ কেজি, কাউকে ১০ কেজি । তাহলে বাঁকি চাউল কোথাই যাচ্ছে…?।
এব্যাপারে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, ‘পৌর সভার ১৫৪০ জন কে ১৫ কেজি হারে চাউল দেওয়া হয়েছে। কম দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন কাউকে কম দেওয়া হয়নি। যারা কম দেওয়ার কথা বলছে তার মিথ্যা কথা বলছে । চাল বিতরণের সময় ইউএনও ও ট্যাগ অফিসার বসে ছিলেন।’
এব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘পৌর সভার চাউল বিতরনের শুরুতে তিনি উদ্বোধন করে দিয়ে এসেছেন। সে সময় চাউল বিতরনের জন্য একটি বালতিতে পরিমাপ করে চাউল দেওয়া হয়েছে। তবে কম দেওয়ার বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেননি ।
