Home শিরোনাম গোপালপুর পৌর মেয়রের বাড়িতে ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

গোপালপুর পৌর মেয়রের বাড়িতে ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

183
0
আদালত

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে তুলে নিয়ে নাটোরের গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোখসানা মোর্তুজা লিলির বাড়িতে নির্যাতন করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অন্য দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী লালপুর আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে এ–সংক্রান্ত মামলার অপর পাঁচ আসামিকে আদালত জামিন দিয়েছেন।

এর আগে এ ঘটনায় গত শনিবার উপজেলার গোপালপুর পৌর ছাত্রলীগের কর্মী আরমান হোসেন (২০) লালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় মেয়রের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে আরমান হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চার ব্যক্তি মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে তাঁকে গোপালপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রোখসানা মোর্তুজার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরমান হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

লালপুর আমলি আদালতের জিআরও বেল্লাল হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে মামলার আসামি মেহেদী হাসানসহ আট আসামি লালপুর আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের দরখাস্ত করেন। শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন আসামি ইমরান হোসেন (২৮) ও ছোটন মন্ডলের (২৮) জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত আসামি মেহেদী হাসান (২১), রিফাতুর প্রত্যয় (২৫), রেজুয়ানুল প্রতীক (২৫), শরিফুল ইসলাম (২৮) ও মো. মাউনের (২৫) জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, বাদী ও আসামিরা ছাত্রলীগের কর্মী। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ছাড়া দলীয়ভাবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কোনো ছাত্রলীগ কর্মী যদি কাউকে নির্যাতন করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেসবুকে প্রত্যয় ও প্রতীককে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে।

বাড়িতে তুলে এনে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর মেয়র রোখসানা মোর্তুজা। তিনি বলেন, তাঁর দুই ভাগনে প্রত্যয় ও প্রতীককে নিয়ে আরমান হোসেন ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আরমান হোসেনকে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনেন। তবে পুলিশ পরিচয়ে তুলে আনা হয়নি। বাড়িতে ডেকে আনার পর ফেসবুকের ওই পোস্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওই সময় আরমান হোসেনকে মারধর করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

সূত্র: প্রথম আলো

Previous articleনাটোরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি
Next articleশিক্ষককে মারতে মারতে ইউপি কার্যালয়ে আটকে রাখে চেয়ারম্যানের লোকজন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here