
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গৃহবধুর চতুর্ভুজ প্রেমের দ্বন্দ্বে নাটোরে হত্যা করা হয় কৃষক মোবারক হোসেন ওরফে মোবাকে। এই হত্যাকাণ্ডে পুরো পরিকল্পনা এবং নেতৃত্ব দেন গৃহবধু আরিফা খাতুন। আর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্য়ালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
গত ১৫জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরী গ্রামে কৃষক মোবারক হোসেন ওরফে মোবা ইকোরী গ্রামের বেড়ী বিলে গরু চড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ওই বিলেই হাত পা বাঁধা অবস্থায় পাট ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চতুর্ভুজ প্রেমের কাহিনী। গৃহবধু আরিফা খাতুনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক ছিল নিহত কৃষক মোবারক ওরফে মোবার। কিন্তু মোবারক আরিফার সাথে দৈহিক মেলামেশার টাকা ঠিকমত দিতো না। এছাড়া অন্যদের সাথে সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয় সে।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামী ইকোরী গ্রামের কাচু খাঁর স্ত্রী আরিফা খাতুন, একই গ্রামের ইমরুল প্রামানিকের ছেলে রশিদ প্রামানিক, গুরুদাসপুর থানার সোনাবাজু গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ আলী এবং ইকোরী গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আসাদুল মিলে মোবারক কে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৫জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরী গ্রামে কৃষক মোবারক হোসেন ওরফে মোবা ইকোরী গ্রামের বেড়ী বিলে গরু চড়াতে যায়। সেখানেই পাট ক্ষেতে আসামীরা মোবারকের হাত পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর তারা সবাই স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করে।
পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়ত আসামীদের গ্রেফতার করে। আর বেরিয়ে আসে গৃহবধু আরিফা খাতুনের চতুর্ভুজ প্রেমের দ্বন্ধে কৃষক মোবারক ওরফে মোবাকে হত্যার রহস্য। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীরা আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, সদর সার্কেল আবুল হাসনাত, বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
