
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে চুরি হওয়া দুই মাসের শিশু কন্যা তাইবাকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
চুরি হওয়ার আট দিন পর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর থেকে শিশু তাইবাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় চুরির সাথে জড়িত নারী শাকিলা বেগমকে। শিশু সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি তাইবার মা সীমা খাতুন। এজন্য তিনি জেলা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আটক শাকিলা খাতুন বড়াইগ্রাম উপজেলার তিড়াইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। আটকের পর শাকিলাকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুরুদাসপুর থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ২৩ডিসেম্বর গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই মাসের শিশু কন্যা তাইবা কে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন সীমা খাতুন। এসময় তীব্র ভীড় থাকার কারনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শাকিলাকে শিশু কন্যা তাইবাকে দিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান সীমা খাতুন। চিকিৎসা শেষে এসে দেখেন তার শিশু কন্যা এবং সে মহিলা সেখানে নেই। পরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে শিশুটির মা সীমা খাতুন।
পরে বিষয়টি পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শাকিলাকে সনাক্ত করে। পরে শিশুটির পিতা তফিজ মোল্লা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর শিশুটিকে উদ্ধারে নামে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সহ প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে বুধবার রাতে কালিকাপুরের নিজ বাড়ি থেকে শাকিলাকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করে চুরি করে নেয়া ২ মাসের তাইবাকে। পরে তাইবাকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, সংসারে অশান্তির কারনে নিজের সন্তানকে দত্তক দিয়েছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের শাকিলা খাতুন। পরে ট্রাক ড্রাইভার স্বামী সাইদুলের চাপে নিরুপায় হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পার্শবর্তী গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কৌশলে সীমা খাতুনেরকাছ থেকে তার শিশু সন্তানটি নিয়ে পালিয়ে যায় শাকিলা।
এসময় সীমা খাতুন গণমাধ্যমের কাছে বলেন, পুলিশের তৎপরতার কারনে আমি আমার শিশু কন্যাকে ফিরে পেয়েছি। এজন্য পুলিশের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর যেন কোন মায়ের শিশু চুরি না হয়। আমি অপরাধি শাকিলার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
