Home অন্যান্য ছাত্রশিবির নেতার দাপটে তটস্থ এলাকাবাসী!

ছাত্রশিবির নেতার দাপটে তটস্থ এলাকাবাসী!

599
0
ছাত্র শিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
সোহেল রানা নামের এক ছাত্রশিবির নেতার দাপটে তটস্থ হয়ে পড়েছে গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-গড়িলা-মহারাজপুর গ্রামবাসী। আওয়ামীলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত এবং জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন তিনি।

তবে সোহেল রানা শিবির নেতা হলেও ২০০৯সালে স্থানীয় আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি আ’লীগের ‘কল্লোল পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর করে উল্টো আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন সোহেল রানা।

আ’লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন- গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামের আব্দুল কাফি মাঝির ছেলে সোহেল রানা ২০০৯ সালে দস্তানাবাদ ইসলামীয়া আলীয়া মাদরাসা শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন।

তখন থেকেই এলাকায় শিবির পন্থিদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। আ’লীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক অপকর্ম করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো.শীরফুল ইসলাম ও বৃ-গরিলা এলাকার আওয়ামীলীগ কর্মী হাসান জাহিদ বলেন, সোহেল রানা মাদক থেকে শুরু করে নারী কেলেঙ্কারীর সাথেও জরিত।

কিছুদিন আগে চতুর্থ শ্রেণির একছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ছাত্রশিবিরের ওই নেতাকে দোষী সাবস্থ করে জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া মাদক সেবনের দায়েও তাকে গ্রেফতার করা হয়। এতো অপকর্মের পরও ওই শিবির নেতা বহাল তবিয়তে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, শিবিরি নেতা সোহেল রানার পিতা একজন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। বৃ-গড়িলা আ’লীগের ‘কল্লোল স্মৃতি পাঠাগারে’ স্থানীয় আ’লীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। ওই শিবির নেতা সংবদ্ধ হয়ে পাঠাগারটি ভাংচুর করেছেন। আবার আ’লীগ নেতাদের নামেই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তারা ওই শিবির নেতার দাপট থেকে মুক্তি চান।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন- ২০০৯ সালে সোহেল রানা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছেন।

অভিযুক্ত সোহেল রানা দাবী করেন, তিনি কখনই ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত ছিলেন না। ২০১০ সালে নাটোর এন.এস সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করেন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- সোহেল রানা নামের ছাত্রশিবির নেতার ব্যপারে তিনি কিছু জানেন না।

Previous articleবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
Next articleনাটোরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু সহ নিহত ২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here