
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ হযরত আলী (৬০) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে লালপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার দাসগ্রাম গ্রামের মৃত মারফত আলীর পুত্র।
জানা যায়, মোবাইল ফোনে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কাগজপত্রে ভুল আছে তার সংশোধন করতে হবে বলে ডেকে পাঠায়। এসময় ওই ছাত্রী তার বান্ধবিকে সাথে নিয়ে মাদ্রায় যায়। অধ্যক্ষ সাথের ছাত্রীকে ১০০ টাকা দিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট-চানাচুর কিনতে পাঠায়। এই সুযোগে অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে জাপটে ধরে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনা স্থানীয় তিনজন প্রতিবেশী জানালা দিয়ে দেখে ফেলেন।
অধ্যক্ষ ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে জানাতে বারণ করেন। জানালে তার লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন। ছাত্রীর পরিবার সামাজিক মর্যাদা ও মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে রাখলেও পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। গত ৬ই মার্চ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযানে নামে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার অধ্যক্ষের ছেলে হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এর আগেও মাদ্রাসা সংক্রান্ত কাজে তার ক্ষতি করা চেষ্টা করা হয়ে ছিল। তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে সংরক্তিত আছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলার পরে অধ্যক্ষ হযরত আলী আত্মগোপনে চলে যান। পরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব অভিযানে নামে। অবশেষে বুধবার রাতে র্যাবের হাতে তিনি গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার তাকে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
