
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দি গ্রামের আয়েশা খাতুন। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তার জন্মসনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার জন্য আবেদন করেছেন অন্তত ১৫দিন আগে। স্থানীয় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্ততা দুইশত টাকা নিয়ে সেটি ৫দিন পর মুল সার্ভারে এন্টি দেন। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দিলেও আয়েশা খাতুন তার জন্মসনদ নিতে গিয়ে দেখেন, জন্ম তারিখ, নামের বানান ভুল। আবারও দুইশত টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও তার জন্ম সনদ হাতে পাননি। এভাবে জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য দিনে পর দিন ইউনিয়ন পরিষদে ধর্না দিচ্ছেন সেবা প্রার্থীরা। কিন্তু কোন প্রতিকার মিলছে না।
ভুক্তভোগিরা জানান, একটি জন্ম সনদ নিতে ১৫ থেকে২০ দিন ঘুরতে হচ্ছে। আবার কখনো কখনো ১ মাসেও জন্মসনদ পরিষদে মিলছেনা। আবার জন্ম সনদ সই নেয়ার জন্য সচিবকে পাওয়া যায় না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুল কলেজে ইউনিক আইডি খুলতে হচ্ছে, তাই জন্ম সনদ এর অনলাইন করতে হচ্ছে। আর জন্ম সনদ নিতে আমাদের ৭ থেকে ৮ দিন পরিষদে আসার পরে সিরিয়াল পাওয়া যায়। তার পরে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগছে হাতে পেতে। তার পরে আমরা সময়মতো সচিবকে পরিষদে পাইনা, তার জন্য আমাদের অনেক হয়রানি ও অর্থের ক্ষতি হচ্ছে।
তার পরে এটা যদি হয়, তারপরে আবার সচিবের সাক্ষর ও সিল পাইতে সময় লাগে ৫/৬ দিন। ছেলে মেয়েকে আবার স্কুল থেকে চাপ দিচ্ছে অনলাইন জন্ম সনদের জন্য, তার পরে নতুন ভর্তি হবার জন্য অনলাইন কপি লাগছে তাহলে আমরা এখন কি করবো, এটার একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই আমরা।
সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা জানান, এ বিষয়ে আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
