
নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
আব্দুল হাকিম। পিতা মৃত তোফাজ্জল হোসেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী মৌজায় নিজের ২৮৫৫ দাগের আড়াই বিঘা জমি চাষাবাদ ও অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার বেশ সুখেই কাটছিল।
কিন্তু গত ১০ বছরের জলবন্ধতা তার সেই সেই সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে। শুধু আব্দুল হাকিমই নয় একই মৌজার ২৮৫৮ দাগের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জেলানীর দুইবিঘা এবং একই জায়গায় মৃত আসনা মন্ডলের ছেলে রবিউলের ২১৭৯, ৮০, ৮৮, ৮৯, ৮১, ৭৬, ৭৭, ২১৭৮ দাগের এগারো বিঘা জমিতে একই অবস্থা। জমিতে এখন শুধু কচুরি পানা দিয়ে ঢাকা। ১০ বছর ধরে এসব ফসলি জমিগুলোতে কোন ফসল হয়না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী মৌজার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে দিনমজুর আব্দুল হাকিমের আড়াই বিঘা, মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জেলানী উদ্দিনের দুই বিঘা এবং মৃত আসনা মন্ডলের ছেলে রবিউলের এগারো বিঘা জমি নিচু স্থানে হওয়ায় সেখানে জলবন্ধতা লেগেই থাকে।
পাশে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করার কারনে পানি নামতে না পারায় সেখানে চৈত্র মাসেও পানি না শুকানোর ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে আছে। তিনটি জমিতেই পানি আর কচুরি পানা দিয়ে ভরপুর। নিজেদের এসব জমিতে কোন চাষাবাদ না করতে পেরে পরিবার তিনটিতে সুখ-শান্তি হারিয়ে গেছে।
কুমারখালী গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, হাকিম, জেলানী, রবিউলের জমিতে প্রায় ১০ বছর ধরে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে আছে। যার কারনে তাদের পরিবারে অভাব লেগেই থাকে। সব সময় পরিবারগুলোতে অশান্তি লেগেই থাকে। ছেলে-মেয়েদের ঠিকমত পড়াশোনা করাতে পারছেনা।
ভুক্তভুগি আব্দুল হাকিম, জেলানী ও রবিউল বলেন, আমাদের শেষ সম্বল জমিতে কোন চাষাবাদ না করতে পেয়ে আমরা মহাবিপদে আছি। এখন কেমনে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলি। সেটাই বুঝতে পারছিনা।
