
জাকির মুন্সী (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট)
তুমি ঐতিহ্যের জৌলুস আর রাজ-রাজন্যের স্মৃতি,
তুমি ইতিহাসের নীরব সাক্ষী দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি।
তুমি রাণী ভবানীর রাজ্যে কোলাহল মুক্ত
অপরূপ স্বর্গীয় সুখের সুদর্শন নগর।
তুমি উত্তরা গণভবন আর রাজবাড়ীর শহর
তুমি চলনবিল আর হালতিবিলের রূপের মোহর।
তুমি জীবনানন্দের চির শান্তির প্রতীক
বনলতা সেনের রূপ সাগরের শহরতলি।
তুমি স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যা স্মরণে শহীদ সাগর
তুমি লুর্দের রাণী মা মারিয়ার ধর্ম-পল্লীর নগর।
তুমি পদ্মপুরাণ, মুর্শিদী আর বারোসা গান
তুমি মাদার পীরের মাদার গানের অমর উদ্ভাস।
তুমি মসজিদ-মন্দির আর গীর্জায় ঘেরা লোকালয়
তোমার তরে লুকিয়ে আছে অশেষ সুখ-স্বর্গের সংসর্গ।
তুমি লালবাজারে মধুসূদনের নিধানে ছানায় তৈরি
রসগোল্লা, পানিতোয়া, চমচম আর কালো জামের শহর।
তুমি কাঁচাগোল্লার মিষ্ট সৌরভে সুবাসিত করে তোল
সারা বাংলার কত হাট-বাজার অসংখ্য শহর-গ্রাম।
তুমি পদ্মা-বড়াল,আত্রাই-নারদ আর নন্দকুজার
পলি মাটির আবরণে ভরে যাওয়া উর্বরা জনপদ।
এই বাংলার কত মাঠে-ঘাটে হেঁটেছি আমি
কত ফুল-ফল, মাঠ-ফসলের কত রূপ দেখেছি আমি
কোথাও পাইনি খোঁজে এহেন ফলবতী মাটি
যে মাটি ফলাতে পারে অফুরান মণি-মুক্তার হাসি।
কত শহর-বন্দরে ঈষৎ শান্তির খুঁজে বেরিয়েছি
কোথাও একটুকরো সুখের শরণ খুঁজে পাইনি আমি।
আমি তোমার অবয়বে পরশ বুলিয়ে দেখেছি ,
কতো অবারিত প্রীতির দ্বার খুলে রেখেছ
চির প্রশান্তির নীড় রাজ-রাজন্যের নাটোর তুমি।
