
আশিকুর রহমান টুটুল,লালপুর:
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর ১৫ কিলোমিটার প্রধান সড়কটি কি সংস্কার হবে না। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় জনগুরত্বপূর্ণ ১৫ কিলোমিটারের সড়কের পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে বর্তমানে চললাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সড়কটির এই বেহল দশা থাকলেও রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।
ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে রাস্তাজুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ছোট-বড় গর্তগুলিতে পানি জমে কাঁদায় লুটোপুটি খাচ্ছে, এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলাচলের বিকল্প কোন পথ না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে খানাখন্দ ও কাঁদা-পানি মাড়িয়ে এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে পথচারীরা। মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়তে দেখা যায় যানবাহনগুলি।
জানা গেছে,ওয়ালিয়া থেকে গোপালপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় শতাধিক বড়-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। একই চিত্র গোপালপুর রেলগেট থেকে লালপুর ত্রিমোহনী মোড় পর্যন্ত।
এছাড়াও সড়কটির দিয়াড়ারপাড়া, চকনাজিরপুর, ভুঁইয়াপাড়াসহ মোট ৫টি স্থানে এক কিলোমিটার পাকা সড়কের ওপরে ইটের হ্যারিং বোম তৈরি করা আছে।
এই সড়ক দিয়েই লালপুরের একমাত্র শিল্পকারখানা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, গোপালপুর পৌরসভা, লালপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লালপুর স্টেডিয়ামে যাতায়াত করতে হয়।
সরকারি-বেসরকারি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে।
দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সড়কটি এই বেহাল দশা। তবে মাঝে-মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে কিছু কিছু ভাঙা স্থানে ইট-বালি ও খোয়া দিয়ে যায়। তাতে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
অটোচালক নাজমুলসহ অনেকে বলেন,‘রাস্তটি সংস্কার হবে বলে দীর্ঘদিন পার হলেও সংস্কার না করায় সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ। শুখনোর সময় ধুলায় গা ভরে যায় আর বৃষ্টি হলেই কাঁদাপানিতে একাকার। নতুন পুরাতন নেই এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলালেই নষ্ট হয়ে যায়।
পথচারী মজনু আলী, ইমদাদুল হক, রাসেল রানা, জুয়েল, মোস্তফা বায়েজিদ বলেন,‘এই রাস্তা কি সংস্কার হবে না..? রাস্তদিয়ে চলাচল করা যায়না তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইউনুস আলী বলেন, বড় কোন প্রকল্প না থাকায় রাস্তাটি এই মুুহুর্তে সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে নাটোর জেলা সড়ক প্রকল্পের মধ্যে রাস্তাটির প্রকল্প দেওয়া আছে, প্রকল্প পাশ হলে রাস্তটি পূর্ণ সংস্কার করা হবে। তবে রাস্তাটি সচল রাখার হন্য মেইনটেনেন্সের আওতায় কিছু কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
