
পদ্মার বুকে চিরে শেষ স্প্যানবাহী ক্রেনটি যখন ধীরগতিতে নির্ধারিত খুঁটির দিকে এগোচ্ছিলো, তখন ১৬ কোটি বাঙালীর শ্বাস-প্রশ্বাসও যেন দ্রুত হয়ে উঠছিল। উদ্বেগ, উচ্ছাস আর আবেগে ৩২ কোটি চোখ অপলক তাকিয়ে তখন পদ্মা নদীতে। এ যেন বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের দিন। মহান বিজয়ের মাসে আরেকবার বাঙালীর বিজয় লাভের দিন। বাঙালীর সোনালী স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে পদ্মা সেতুর সবশেষ স্প্যানটি বসে দুপুর ১২ টার দিকে।
গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশ ও দেশের বাইরে কোটি বাঙালী তা উপভোগ করে হৃদয় দিয়ে। আর এ মাধ্যমেই বাস্তবে রূপ পেল ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। সরকারের লক্ষ্য আসছে বছরের ডিসেম্বরে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মাসেতু। শেষ ও ৪১ নম্বর স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে আরও এগিয়ে গেল এ প্রকল্প।
সকাল ১০টা থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করে দুই ঘন্টার মধ্যে স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে গেল রাতেই পদ্মা সেতুর কাস্টিং ইয়ার্ড থেকে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে আসা হয় স্প্যানটিকে। যেটি ঘিরে সারারাত ধরে টহল ছিলো নিরাপত্তা বাহিনীর।
ভোর থেকেই স্প্যানবাহী ক্রেনের আশপাশ থেকে সরিয়েও নেওয়া হয় সব ধরনের নৌযান। পদ্মা সেতুর সবশেষ এ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে গোটা ৬.১৫ কিলোমিটার সেতু,ঘটবে পদ্মা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের সংযোগ । পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি খুঁটির ওপরে বসেছিলো ২০১৭ সালে। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসতে সময় লেগেছে ৩ বছরের বেশি।
