
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে নাটোরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় করছে সাধারণ মানুষরা। সাধারণ মানুষদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। শুধু নাটোর নয়, আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বিনোদনে টেলিভিশনের ওপর ভরসান না করে সপরিবারে ঘুরতে বের হয়েছেন অনেকে।
ঈদের দিন বুধবার ও ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে এ পরিস্থিতি দেখা যায়। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে, কেউবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। পরিবার-পরিজন,আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু- বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি আর আনন্দের মধ্য দিয়েই যেন নাটোরবাসী ভাগাভাগি করছেন ঈদের আনন্দ। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী উত্তরা গণভবন তথা দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি, নাটোরের বঙ্গজ্জ্বল রাজবাড়ি ,বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, লালপুরে পদ্মার চর ও ধরাইল জমিদার বাড়ি। এগুলোর মধ্যে জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে উত্তরা গণভবনে।
তবে এবার পাটুলের মিনিক্সবাজার, চলনবিলের সিংড়া-বারুহাঁস-তাঁড়াশ সড়ক, সহ বিভিণ্ন স্পটে বন্যার পানি না আসার কারনে দর্শনার্থী শূণ্যে।
উত্তরা গণভবনে সপরিবারে ঘুরতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, অনেকদিন ধরেই লোকমুখে শুনলেও এবার প্রথম
এসেছি এখানে। তিনি জানান, বছরের অন্যসময় কাজের জন্য বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া যায় না। ঈদের ছুটিতে বাচ্চাসহ সপরিবারে একটু ঘুরতে বের হয়েছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট আর টেলিভিশনের এক ঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে বন্ধুরা সবাই এখানে ঘুরতে এসেছি। ভালো লাগছে অপরুপ সৌন্দর্যকে। বাবা-মার সঙ্গে নাটোর শিশু পার্কে ঘুরতে আসা শিশু সামাইলার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। পার্কের রাইডগুলো শিশুদের পদচারনা ও হৈ চৈ এ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও শিশুদের জন্য বাড়তি আনন্দের খোরাক যুগিয়েছে নাটোরের লালপুরের গ্রীনভ্যালী পার্ক। সব মিলিয়ে ঈদ মৌসুমে নির্মল বিনোদন উপভোগ করছেন নাটোরবাসী।
