Home কৃষি নাটোরে কমছে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানী।। ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের...

নাটোরে কমছে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানী।। ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

107
0
পাট রপ্তানী

প্রতিবছর নাটোর জেলায় অন্তত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন পাট উৎপাদন হয়। উৎপাদিত এসব পাটের বেশিরভাগ কেনেন মিল মালিকরা। এরপর কয়েক হাত ঘুরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে চলে যায়।

কিন্তু বর্তমানে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার প্রভাব পাটের বাজারে পড়েছে। ফলে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর প্রতি মণ পাট ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এক পাট ব্যবসায়ী বলেন, করোনার সময় থেকে পাটের দাম কমতে শুরু করেছে। এখনও কম দামেই পাট বিক্রি হচ্ছে।

নাটোর থেকে প্রতি বছর অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার টন কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। রপ্তানিকারকদের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলা থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ ডলার। সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০ ডলারে।
রপ্তানিকারক সোহান কুমার আগরওয়াল বলেন, ভারত আমাদের বড় মার্কেট, সেখানে আমরা বেশি পাট রপ্তানি করি। কিন্তু অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের কারণে রপ্তানি কমে গেছে।

প্রতিবেশি দেশ ভারতে উৎপাদিত পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রায় ২৫ শতাংশই রপ্তানি হয়। কিন্তু ভারত সরকার তাদের শিল্পকে সুরক্ষা দিতে ২০১৭ সালে পাটজাত পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে। এরপর থেকে ভারত থেকে কমতে থাকে রপ্তানির আদেশ। এছাড়া করোনা মহামারির প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সবশেষ তুরস্কে ভূমিকম্পের পর আশঙ্কাজনক হারে কমেছে রপ্তানি।

রপ্তানিকারকরা বলেন, অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া অন্যান্য দেশে কীভাবে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা যায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো পণ্যের উপর ৫ বছরের বেশি মেয়াদে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা যায় না। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকার এখনও তা প্রত্যাহার করেনি। এই অবস্থায় দেশীয় পাট শিল্পকে রক্ষার জন্য পাটজাত পণ্য থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

Previous articleআগাম বিল না দেয়ায় নাটোরে প্রকৌশলীকে মারপিট
Next articleনাটোরে জাতীয় পাট দিবস পালিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here