
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে তরকারিতে তেল বেশি দেওয়ার কারনে গৃহবধুর সাত আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী আব্দুল হাই ও এক সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার ভোরে সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে বুধবার সকালে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে এক প্রেসব্রিফিং করেন র্যাব। গ্রেফতারকৃত দু’জন হচ্ছেন, নাটোর শহরের বড়হরিশপুর এলাকার মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাই (৪৫) এবং একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে রাব্বি মিয়া।
এসময় র্যাব-৫ রাজশাহী ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজা শাহারিয়ার বলেন, প্রায় ১২ বছর পূর্বে হালসার সুলতানপুর এলাকার আব্দুল হাই এর সাথে মুক্তি খাতুন এর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর হতে স্বামী আব্দুল হাই যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে স্ত্রী মুক্তি খাতুন এর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
গত ২৪ জুলাই তরকারীতে তেল বেশি দেওয়ার অপরাধে স্বামী আব্দুল হাই ও তার তার মামাতো ভাই রাব্বি মিয়া মুক্তি খাতুন কে হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় মুক্তি খাতুন হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার দুই হাতের বাম হাতের চারটি আঙ্গুল এবং ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছে মুক্তি খাতুন।
এই ঘটনার মুক্তির ভাই বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আজ ভোরে হালসার সুলতানপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মুক্তির স্বামী আব্দুল হাই ও তার সহযোগিকে গ্রেফতার করে।
