
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনের অন্তত ৫জন নেতাকে আহত করা হয়েছে। আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়।
আহতদের মধ্যে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন রিয়নকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, মাদ্রসা মোড়ের পরিবহণ শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ লীগ নেতা বুলবুল এবং জেলা সৈনিক লীগের আমিরুল ইসলাম জনি। আহতদের নাটোর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহত আশা অভিযোগ করে বলেন, নাটোর জেলা ট্রাক-ট্যাংক লরি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সেলিমের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধারকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, সেলিমের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি সন্ত্রাসী দল নাটোর সদর খাদ্য গোডাউনের সামনে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন রিয়ন, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ লীগ নেতা বুলবুল কে কুপিয়ে জখম করে। এসময় উদ্ধার করতে গিয়ে জেলা সৈনিক লীগের আমিরুল ইসলাম জনিও আহত হয়।
খবর পেয়ে বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান আহদের দেখতে নাটোর সদর হাসপাতালে যান।
সেখানে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এমপি বাহিনীর লোকজন দলীয় নেতা কর্মীদের নির্মম ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। তারা দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন। এমপি শিমুলের লালিত সন্ত্রাসীরা আমারে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই।
তবে অভিযুক্ত সেলিম বলেন, আমরা খবর পাই, দিঘাপতিয়া এমপি সাহেবের অফিস দখল করে সন্ত্রাসী রাজক্ত কায়েম করবে। আমরা এমপি সাহেবের ছবি, প্রধানমন্ত্রী ছবি টাঙ্গিয়ে আসার সময় মাদ্রাসা মোড়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, বিচ্ছিন্ন ভাবে যারা এসব হামলা চালিয়েছে তাদের কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
