
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে ফিটিং পার্টি চক্রের এক নারী সদস্য সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় নগদ এক লক্ষ টাকা ও সিএনজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার হলিদাগাছি এলাকার মামুনুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথী। গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের যাত্রী, ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সাথে বাসে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন নম্বর লেনদেন হয়।
পরদিন ওই ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করার কথা বলে মোবাইল ফোনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ডেকে এনে সিএনজিযোগে নাটোর সদর উপজেলার ফুলস্বর গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ওই ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারক চক্র চক্রের নারী সদস্য শরিফা আক্তার সাথী অশ্লীল ছবি তুলে ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলেন।
এসময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি ও ধারণকৃত ছবি ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছে থেকে নগদ দশ হাজার টাকাসহ বিকাশের মাধ্যমে আরো দুই লাখ টাকা আদায় করে। পরে তাকে নাটোরের আহম্মপুর এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
পরে বিষয়টি ভুক্তভোগি মিজানুর রহমান সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ অভিযানে বের হয়।
বুধবার নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শরিফা আক্তার সাথীসহ তার প্রতারণার সহযোদ্ধা নাটোর সদর থানার ফুলস্বর এলাকার আফেল উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বিকাশ এজেন্ট নাটোর সদরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ ফারুক (২৮) ও অর্জুনপুর গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে হোসেন আলী (৪০) এবং সিএনজি চালক রাজশাহীর চারঘাট থানা ঐলাকার শিবপুর গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নজু (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, এই ফিটিং পার্টিরা তাদের নারী সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা এই চক্রের সদস্যদের রিমান্ডে এনে আরও কয়টি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আরও কারা তাদের সাথে জড়িত রয়েছে তা বের করার চেস্টা করা হবে।
