
আশিকুর রহমান টুটুল,লালপুর:
সরকারী পাটগুলো বন্ধ হওয়ার কারনে পাটের নায্য দাম পাচ্ছে না চাষীরা। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছে পাট চাষীরা। তাছাড়া চলতি মৌসুমের শুরুতে সুপার সাইক্লোন আম্পান ও আগাম বর্ষায় নষ্ট হয়ে গেছে অনেক জমির পাট। এছাড়াও অতিবৃষ্টির কারনে পাটের সঠিক বৃদ্ধি না হওয়ায় পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছেন চাষীরা।
লালপুুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে,‘চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৫৯২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষামাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৫হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে। যা পাট চাষের লক্ষমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর কম জমিতে চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটা মাঠেই জমি থেকে কৃষকরা কাঁচা পাট কাটতে শুরু করেছে। অনেকেই কাটা পাট পানিতে জাগ দিচ্ছে। কেউবা পাটের আশা ছোড়াচ্ছে।
এসময় তাদের দারুন ব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে দেলুয়া গ্রামের পাট চাষী আমজাদ হোসেন বলেন,‘গত বছর বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় এবছর ২ বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে পাট চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ মন হারে ফলন হলেও এবার চারা পাটের সময় ঝড় ও আগাম বৃষ্টিতে অনেক জমির পাট পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যে গুলি বেঁচে আছে অতিবৃষ্টির কারনে তার ফলন ভালো হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘এবার সরকারী পাট কলগুলি বন্ধ থাকায় বাজারেও পাটের দাম কম। বাজারে পাটের নায্য দাম না পেলে তাদের অনেক ক্ষতি হবে।
রায়পুর গ্রামের পাটচাষী রুস্তুম আলী বলেছেন, ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। প্রতিকুল আবহাওয়ার জন্য পাটের ফলনও কম হচ্ছে। তার পরেও অধিক মুজুরী দিয়ে শ্রমিক নিয়ে জমিথেকে পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটের আশ ছাড়িয়ে সেই পাট বাজারে বিক্রয় করতে গেলে কম দামে বর্তমানে ১৫ থেকে ১৬শ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে। পাট চাষ করে এবার লাভ তো দুরের কথা অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,‘চলতি মৌসুমে ৫হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আম্পান ও অতিবৃষ্টির কারনে পাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদিত পাটের সঠিক বাজার মূল্য পেলে পাট চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।’
