
প্রায় দুই দশক আগের কথা, নাটোরের কিছু উদ্দমি মানুষ পুষ্পিত নাটোর নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন,( সম্ভবত সেই সময় সারা দেশে জেলায় জেলায় সড়কে ফুলগাছ রেপনের একটি সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল) সেই সময় ‘পুষ্পিত নাটোর’ সংগঠনের উদ্যোগে বেলঘোরিয়া বাইপাস মোড় থেকে বড়হরিশপুর বাইপাস মোড় পর্যন্ত শহরের প্রধান দুইটি সড়কের দুই পার্শ্বে কৃষ্ণচুড়া, রাধাচুড়া, বকুল এরকম ফুলগাছের চারা রোপন করা হয়েছিল।
একটু পিছন ফিরে দেখলেই চোখের তারায় ভাসবে, শহরের মাঝদিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা রোডের কিছু কিছু জায়গা সুরভিত হতো বকুলের সৌরভে। ফুটতো আগুন রাঙ্গা রাধাচুড়া আর কৃষ্ণচুড়ার ফুল।
নতুন ভাবে ফোর লেন সড়ক তৈরীর সময় কাটা পরেছে গাছগুলি। এখন বৃক্ষহীন খাঁ খাঁ নতুন সড়ক। শহরের বুক চিড়ে ফোরলেন সড়কে এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত মাঝ বরাবর ডিভাইডার, ধিরে ধিরে পরিণত হচ্ছে জঙ্গল আর সবজি বাগানে।
ভবিষ্যৎ ভেবে, একটু পরিকল্পনা করে, শহরের পূর্ব থেকে পশ্চিম বাইপাস মোড় পর্যন্ত এই খালি ডিভাইডারে, নাটোরের ঐতিহ্য, হৈমন্তি ফুলের চারা লাগাতে পারলে, হৈমন্তির সৌরভে সুরভিত হবে পুরো নাটোর শহর।
অন্যদিকে হৈমন্তি গাছ নাটোর ছাড়া দেশের অন্য কোথাও না থাকায়, এই গাছটির বিস্তারের মাধ্যমে নাটোর হতে পারে একটি বিশেষায়িত শহর।
হৈমন্তির সৌরভে সুরভিত হোক নাটোর।
আগামীর বিশেষ সুরভিত নাটোর গড়তে সচেতন ও সুন্দর মনের মানুষেরা আওয়াজ তুলুন।
লেখক: রফিকুল ইসলাম নান্টু, সাংবাদিক ও ছাড়াকার।
