
সজাগ ডেস্ক,
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। সকালে সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। সূর্য গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে থাকবে এক আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’।
আজ ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ আংশিক দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে। এ সময় থেকে চাঁদ সূর্যের সামনে এসে ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলতে শুরু করেছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলবে এ মহাজাগতিক দৃশ্য। সূর্যকে ৯০ শতাংশের বেশি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, যা খালি চোখেই অবলোকন করতে পারবেন বিশ্ববাসী। তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন।
ভারতের দক্ষিণাংশ থেকে এই সূর্যগ্রহণ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ইউএই, ওমান থেকেও এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী এফ আর সরকার বলেছেন, ‘আজকের যে সূর্যগ্রহণ, তাকে বলা হয় এনুলার। এটি পূর্ণ গ্রহণ নয়, অনেকটা রিঙের মতো চারদিক দিয়ে আলো বের হবে, যাকে বলয়গ্রাস বলা হয় বাংলায়। চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লাখ ২২ হাজার মাইল থেকে দুই লাখ ৫২ হাজার মাইল দূরে চলে যায়। যখন চাঁদ কাছে থাকে, তখন সূর্যগ্রহণ পূর্ণ হয়, আর যখন চাঁদ দূরে যায়, তখন গ্রহণ পূর্ণ হয় না। কারণ চাঁদ তখন সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না। এবার চাঁদ অনেক দূরে চলে গেছে। পুরো ঢাকতে পারবে না। ঢাকবে তবে তার চারদিক দিয়ে সূর্যের আলো রিঙের মতো দেখা যাবে।’
তিনি জানান, ২০২০ সালের ২১ জুন আবার এ ধরনের সূর্যগ্রহণ হবে। প্রতিবছর না হলে এক বছর পর পর এই গ্রহণ হয়। তবে সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে সরাসরি খালি চোখে না তাকানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে এই সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে ক্যাম্পের আয়োজন করেছে আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকেই জাদুঘরের ছাদে দুটি টেলিস্কোপ দিয়ে এই সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
