
নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সুকৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বাণিজ্য চালাচ্ছেন কিছু অসাধু কোচিং মালিকরা।
গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ-নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অর্থলোভী শিক্ষক বিভিন্ন জায়গায় কোচিং সেন্টার খুলে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। বিশেষ করে, লক্ষীকোল বাজারে , বাঘাইট, রয়না মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় বহাল তবিয়তে চলছে এই কোচিং বাণিজ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, কিছু অসাধু শিক্ষক কলেজে পড়ুয়া ছাত্রদের সহযোগিতায় ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, একাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং চলায় বজায় থাকছে না সামাজিক দূরত্ব এবং কেউ-কেউ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখাচ্ছে। যেখানে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেন, সেখানে কিভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টার চালায় এমন প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে।
করোনা সংক্রমনের মধ্যেও কোচিং সেন্টার চালানো প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ বলেন, কোচিং সেন্টারসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনও ক্রমেই কোচিং সেন্টার চালাতে পারবে না কেউই। যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালায়, সে যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
