Home শিরোনাম বড়াইগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার সহায়তায় জায়গা দখলের অভিযোগ

বড়াইগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার সহায়তায় জায়গা দখলের অভিযোগ

160
0
বড়াইগ্রাম জায়গা দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের বড়াইগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ঘর উচ্ছেদ এবং গাছ উপড়ে ফেলে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়নাভরট হাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছ।

জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়নাভরট এলাকার ৫১/১ নং খতিয়ানের রয়না মৌজার ১৪৮৩ এবং ১৫৮৪ দাগের মোট ৭৭শতায় জমির ১৫দশমিক ৪৪শতাংশ জমি আরএস রেকর্ডমুলে পায় ওই এলাকার মামুদ মন্ডল। পরে মামুদ মন্ডল মারা যাওয়ার পর তার ছেলে সোহেল রানা অংশিদার হয়। কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী জায়গাটি দখলের জন্য মামুদ মন্ডলের ছেলে রানাকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।

তবে ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী দাবী করেন, ১৯৫৪সালে ক্রয়কৃত দলিলে মামুদ মন্ডলের নাম নেই। পরে আরএস রেকর্ডে মামুদ মন্ডলের নাম ভুলে অন্তভুক্ত হয়েছে।

তবে অংশিদারের সূত্র ধরে সোহেল রানা চলতি মাসে ১৫দশমিক ৪৪শতাংশ জমি স্থানীয় লামিম ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের মালিক মনির হোসেন সরকারের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তী মনির হোসেন ক্রয়সূত্রে পাওয়া তার জমিতে ঘর স্থাপন করেন। এসময় ২০/২৫টি আম গাছের চারা রোপনও করা হয়।

শনিবার সকালে মনির হোসেনের লোকজন ঘরের বেড়া নির্মাণ করতে গেলে জামাতের ছেলে মানিক, আতাহারের ছেলে জায়দুল, মকবেলের ছেলে শফিকুল , সোনা, সানোয়ার ও মোহাম্মদ বাধা প্রদান করে। এসময় ডেইরি ফর্মের সাইনবোর্ড, ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এছাড়া রোপকৃত গাছ উঠিয়ে ফেলে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জায়গাটি দখল করার সময় ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুল নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার মদদে জায়গাটি দখল করা হয়। পরে পুলিশ আসলে তাদের সরিয়ে দেয়।

জমির মালিক মনির হোসেনের অভিযোগ, বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাবুল ইসলাম সরদারের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তার প্রত্যক্ষ মদদে ঘর এবং সাইন বোর্ড লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া রোপন করা গাছও তারা নষ্ট করেছে। থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাবুল ইসলাম সরদার বলেন, তার নেতৃত্বে জায়গা দখল হয়নি। তিনি বৃস্টিতে আটকা পড়ে ওই বাজারে বসে ছিলেন। তবে তার নেতৃত্বে জায়গা দখলের অভিযোগ সত্য না। তিনি কারও জায়গা দখলন করে দেননি। তার নামে থানায় কোন জিডিও নাই।

এবিষয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে জায়গা দখলের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গা নিয়ে এরআগে জিডিও হয়েছে। জিডির তদন্ত করে তা রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।

Previous articleবসত বাড়িতে ব্যবসায়ীর গাঁজা চাষ!
Next articleপণ্য-টাকা কোনোটিই দিচ্ছে না প্রিয়শপ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here