
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে আওয়ামীলীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অফিস ভাংচুর ও নৌকার কর্মী সমর্থকের বাড়ীঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রোববার আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নীলুফার ইয়াসমিন বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৪০-৪৫ জনের নামে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক শামসুজ্জোহার পক্ষে আবু সাঈদ বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় আরো দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে নয়টার দিকে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ বাজারে এসব হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু জানান, আমরা রাতে থানা পুলিশ ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নগর এলাকায় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুজ্জোহা সাহেব আলীর কর্মীরা ধানাইদহ বাজারে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে।
পরে তারা নির্বাচনে নৌকার সহকারী সমন্বয়কারী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদের মন্ডল ও আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে।
অপরদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুজ্জোহা বলেন, ধানাইদহ বাজারে ঘোড়া প্রতীকের অফিস করতে দেবেনা মর্মে তারা আগেই ঘোষনা দিয়েছিল। আমি সে তথ্য প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় আমি সেখানে অফিস উদ্বোধন শেষে সবাইকে নিয়ে গণসংযোগের কাজে চলে গেলে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা অফিসটি ভাংচুর করে। নৌকার অফিস ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভেঙ্গে আমার নির্বাচনী আমেজকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, এ ঘটনায় পালটাপালটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
