
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাকমি, হোয়াইট টোন, কেয়াশ্রেষ্ট, পাটানজল এমন সব নামি-দামি বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তৈরী হতো নাটোরের হালসার ফুলশর গ্রামের একটি বাড়িতে। বাড়ির বাহির থেকে বোঝার উপায় নেই ওই বাড়িতে নকল প্রসাধনী তৈরী হয়ে আসছিল।
শেষ মেষ সোমবার রাতে র্যাব ও ভোক্তা অধিকারের অভিযানে বন্ধ হল নকল প্রসাধনী কারখানা। বিপুল পরিমান প্রসাধনী জব্দ ও সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কামন্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, গত ছয় মাস আগে সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের ফুলসর গ্রামে ফয়েজ উদ্দিন এর বসতবাড়ীতে নকল প্রসাধনী কারখানা স্থাপন করেন পুঠিয়ে উপজেলার শুভ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মহিউদ্দিন কাজল। বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সে অবৈধ ভাবে দেশি-বিদেশি লাকমি, হোয়াইট টোন, কেয়াশ্রেষ্ট, পাটানজল এমন সব ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরী করে আসছিল।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিপুল পরিমানে নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর নকল প্রসাধনী তৈরী কারখানার মালিক মহিউদ্দিন কাজল কে তিন লাখ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে জব্দ করা নকল প্রসাধনি ধ্বংস করা হয়। এসময় অভিযানে নাটোর ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডার রফিকুল ইসলাম সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নকল প্রসাধনি কারখানার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে জানান নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ফরহাদ হোসেন।
