
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাল মানের বায়ুর দশ জেলার মধ্যে নাম উঠে এসেছে উত্তরের জেলা নাটোরের নাম। এই জেলার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে ৬৫ মাইক্রোগ্রাম নিচে। আর দেশের ৬৪ জেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে গাজীপুরে। আর সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে মাদারীপুরে।
এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘৬৪ জেলার বায়ুদূষণ সমীক্ষা ২০২১’ উপস্থাপন করে বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
সমীক্ষায় মাত্র ১০টি জেলায় বায়ুর মান ভালো পাওয়া যায়। এসব জেলার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে ৬৫ মাইক্রোগ্রাম নিচে।
জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, নাটোর, জয়পুরহাট, রাজবাড়ী, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, পটুয়াখালী ও মাদারীপুর।
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, মেগা প্রকল্প, ইটভাটা, শিল্পকারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো প্রভৃতি বিষয়গুলোকে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বায়ুদূষণ কম হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান, প্রচুর পরিমাণ গাছপালা, প্রাকৃতিক জলাধার প্রভৃতি থাকার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজও খুব একটা লক্ষ করা যায়নি।
ক্যাপসের ৮১ সদস্যের একটি গবেষক দল দেশের ৬৪ জেলার ৩ হাজার ১৬৩ স্থানের বায়ুর অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ পরীক্ষা করে এই সমীক্ষাটি তৈরি করেছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গবেষক দলের প্রধান আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাপস ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ হাজার ১৬৩টি স্থানের বস্তুকণার মান পর্যবেক্ষণ করে। পরে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার দৈনিক আদর্শ মান ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। সমীক্ষায় গাজীপুরের বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩ দশমিক ৫১ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া যায়। মাদারীপুরে তা ৪৯ দশমিক শূন্য ৮ মাইক্রোগ্রাম।
জেলাভিত্তিক সমীক্ষায় গাজীপুরে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হলেও শহরভিত্তিক সমীক্ষায় সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে ঢাকায়।
