
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে লালপুরে রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত নারীর পরিচয় সনাক্ত এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মরদেহের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন দোকানের ভিজিটিং কার্ড থেকে পরিচয় শনাক্ত করে হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়। এই ঘটনায় ভিকটিম সম্পা খাতুনের স্বামী আনছের শেখ (৪৫) কে গুরুদাসপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্পা খাতুন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।
রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সম্পা খাতুনের হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ব্রিফিংয়ে লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে লালপুর উপজেলার বাটিকামারী রেললাইনের পাশ থেকে লালপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। বাদী না থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এরপর মরদেহের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন দোকানের ভিজিটিং কার্ডের সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। ৩টি টিম গঠন করে মামলা রহস্য উদঘাটনের জন্য মানিকগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, পাবনায় অভিযান শুরু করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় উদঘাটনের পাশাপাশি ঘটনার চার দিন পর গত ১৬ জানুয়ারী জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার হতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ও সম্পা খাতুনের স্বামী পাবনা জেলার চকবারেরা গ্রামের মৃত ভানু শেখের ছেলে আনছের শেখ (৪৫) কে গ্রেফতার করে।
পরে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম সম্পা খাতুন আশুলিয়ার একটি বারে নাচানাচি এবং ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখান থেকে পরিচয়ে দুই বছর আগে সম্পা খাতুনের সাথে আনছেরর আলীর বিয়ে হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি ভোর রাত ৩ টার দিকে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে এবং স্ত্রী শম্পা রাগ করে লালপুর থানাধীন গোপালপুর পৌরসভার ভাড়া বাসা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গানোর জন্য স্বামী আনছের শেখ তার পিছন পিছন যেতে থাকে। পরে ভোর চারটার দিকে শম্পা ও তার স্বামী লালপুর থানাধীন সাদিপুর গ্রামের রেল লাইনের পাশে বসে তারা কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের মধ্যে কথা বার্তার এক পর্যায়ে আসামী আনছের শেখ উত্তেজিত হয়ে শম্পাকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
