Home জেলা সংবাদ মতিজান বেগমের দু:খ দেখবে কে?

মতিজান বেগমের দু:খ দেখবে কে?

135
0
মতিজানের দু:খ

আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমুন্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।

না আসমানীকে দেখতে আর রসুলপুর যেতে হবেনা।এমনই এক আসমানির দেখা মিলেছে নাটোরের বড়াইগ্রামে।

নাম তার মতিজান বেগম।  বয়সের ভারে একেবারে নুজ্ব হয়ে পড়েছেন তিনি।স্বামী মারা গেছে ৪০ বছর আগে। সেই থেকে এক ছেলের সাথে স্বামীর ভিটেতেই বসবাস করেন তিনি।

ভাঙ্গা একটি ঘর একটু বাতাসে নড়বড় করে। বারান্দায় এই শীতে মাংসবিহীন শরিলটা পড়ে আছে। গত ১০ বছর হলো আর চলতে পারেন না। একেবারে বিছানায় জীর্ন হয়ে পড়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

এমনই এক অসহায় শতবর্ষী বৃদ্ধার জমি দখল করে ঘর তুলেছে প্রতিবেশী আহাদ মোল্লা।

আজ ভোরে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের তিরাইল বকুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খুব ভোরে আহাদ মোল্লা তার লোকজন নিয়ে মতিজান বেগমের পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে বৃদ্ধার বাড়িতে যাবার রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করেন।

এ ব্যাপারে মতিজান বেগমের পরিবারের লোকজন বলেন, আহাদ মোল্লা অনেক প্রভাবশালী। আমরা গরিব তাই আমাদের কথা কেই শুনে না।আমাদের বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তায় তারা জোর করে ঘর তুলেছে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হব কিভাবে?

এ বিষয়ে আহাদ মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিনা সম্পত্তিতে ঘর তুলেছি।আদালতে মামলা করেছেন সেটার আদেশ না হতেই কেন খুব সকালে ঘর তুলেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

Previous articleনাটোরে ইভ্যালির এমডির বিরুদ্ধে ১৭লাখ টাকার মামলা: সমন জারী
Next articleবখাটের অত্যাচারে ইউএনও অফিসে স্কুল ছাত্রী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here