
যাইহোক অনেক কষ্ট করেও মিন্নি আর নয়ন বন্ডের অমর প্রেমে টি স্বার্থক হল না। একজন গুলি খেয়ে মরেছে আর আরেকজন ফাঁসির দড়ির অপেক্ষায় আছে।এক নারীর প্রতি ঘন্টার লুকায়িত নষ্ট ভ্রষ্ট আড়ষ্ট অন্ধকার রুপের কালো ছায়ায় রিফাত তাঁরা হয়ে আকাশে ভাসে।মিন্নি নামক নিষিদ্ধ গন্ধম দেশের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আছে।ছেলে গুলো বড্ড বোকা প্রেমিক। আরে কেউ হাইব্রিড গোলাপ হয়ে আসলে বা হাতে দিলে নিতেই হবে.! বোকা.!প্রেমিক রা প্রতারিত হয় না।প্রেমিক সাঁজতে পুড়তে হয়।পুড়ে পুড়ে যে কষ্টি পাথর হতে পারে সেই হয় প্রেমিক।বাদবাকি সব ধন্সা গাছ।এমন মিন্নিরা যখন একটু চোখে পানি আনবে দেখবেন কয়েক ডজন ছেলের মধ্য মহামারি লেগে যায়।অথচ দিনের পর দিন এই ছেলে গুলো ক্লাস ফাঁকি দেয় কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে না।পরিবারের খোঁজ জানে না আর মাদক তো আছেই।মিন্নি কে দোষ দিচ্ছেন কেন? মিন্নি কে কারা আজকের এই মিন্নি বানিয়েছে.? অবশ্যই তার বাবা মা।তারা কি তার মেয়ের স্বভাব চরিত্র নিয়ে কিছুই জানতেন না।অবশ্যই জানতেন।চুপ মেরে ছিল কেন এই মেয়ের জন্য?তাদের ও শাস্তি হওয়া উচিত।অবুঝ মন জানতে চায় মিন্নির শাস্তি হবে ত? মেয়েদের কি ফাঁসি হয়?আমি আপাদমস্তক আইন কে সম্মান করি মেনে চলি।কিন্তু উচ্চ আদালত যদি ছাড় দেয়.!একটা শাস্তি হাজার টা কুকর্ম রোধের মানদণ্ড হবে।উচ্চ আদালত ফাঁসির এই রায় যেন বহাল রাখ প্রার্থনা এখন এটাই। কোন মা যেন এমন রিফাত হারা না হয়।মিন্নি কে সস্তা আবেগ কি কেউ দেখাতে যাবেন.!প্রাচ্য প্রাশ্চত্যের কোন দেয়ালে আর কখোন যেন লেখা না উঠে- সুবোধ তুই পালিয়ে যা।বিচারহীন অসহায় সম্বলহীনা কোন মানুষ যেন আর ‘রবিনহুড ‘ বা ‘হারকিউলিস’ কে না ডাকে।অভিশাপ শব্দটা মুছে যাক।বিবেকের চোখে যে সাদা কালো কাপড় তা দিয়েই সব পাপের দ্রুত বিচার হোক।স্বাধীন দেশে অরাজকতার কোন স্থান নেই।প্রতিটি প্রেম পূর্ণতা পাক।কদার্যতা যেন কোন প্রেমের পূণ্য পথে কাঁটা হয়ে না দারায়।
লেখকঃ- আরিফ হাসান।
নাট্যকলাও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগে কর্মরত।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
