
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমজান মাসকে টার্গেট করে বাঙ্গী চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন নাটোরের চাষীরা। জমি থেকেই প্রতিপিচ বাঙ্গী বিক্রি করছেন তারা ৫০ থেকে ৬০টাকা। এতে করে খরচ উঠিয়ে ভাল লাভের আশা বাঙ্গী চাষীদের।
নাটোর সদর উপজেলার পূর্ব হাগুরিয়া এলাকার গৃহনী খদেজা বেগম। বাড়ির পাশে ৮শতাংশ জায়গার ওপর এবার চাষ করেছেন বাঙ্গী। নিজেই আগাছা দমন, পরিচর্চা সহ গাছের যতœ নেন তিনি। তার ৮শতাংশ জমি থেকে ইতোমধ্যে তুলতে শুরু করেছেন বাঙ্গী। প্রতিটি বাঙ্গী ওজন এক থেকে দেড় কেজি।
বাঙ্গী চাষী খদেজা বেগম বলেন, রমজান মাসে বাঙ্গীর চাহিদা বেড়ে যায়। আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারনে দামও ভাল পাওয়া যায়। যার কারনে রমজান মাসকে টার্গেট করে বাঙ্গী চাষ করা হয়। এবারও বাঙ্গীর বাম্পার ফলন হওয়ার কারনে তার ৮শতাংশ জমি থেকে ৮ থেকে ১০হাজার টাকার বাঙ্গী বিক্রয় করতে পারবেন।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বাঙ্গী পেতে সাধারণত সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে যায় এই ফলের। দামও পাওয়া যায় ভাল। তাইতো রমজান মাসকে টার্গেট করে বাঙ্গীর গাছ রোপন করেন এখানকার চাষীরা। বর্তমানে জমি থেকেই প্রতি পিচ বাঙ্গী বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা।
পূর্ব হাগুরিয়া এলাকার বাঙ্গী চাষী আবুল কালাম বলেন, রমজান মাসে রোজাদারদেও কাছে বাঙ্গী একটি জনপ্রিয় খাবার। যার কারনে এই মাসে চাহিদা বেড়ে যায়। দামও ভাল পাওয়া যায়। এতে কওে উৎপাদন খরচ উঠিয়ে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। আগামী সাত দিনের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে বাঙ্গী বাজাওে উঠবে। তখন দামটা কিছুটা কম হবে।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদুল ইসলাম বলেন, এই বছর নাটোর সদরে ২৩হেক্টর জমিতে বাঙ্গী চাষ হয়েছে। এতে ৫৭৫মেট্রিক টন বাঙ্গী উৎপাদন হবে বলে আশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের। ভালমানের বাঙ্গী উৎপাদন করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দু’বছর ধরে বাঙ্গীর সঠিক দাম পাচ্ছে চাষীরা। যার কারনে রমজান মাসকে টার্গেট করে বাঙ্গী চাষের পরিমান বাড়ছে। আগামী দিনে বাঙ্গী চাষের পরিমান আরও বাড়ার আশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের।
