Home জেলা সংবাদ রাস্তার ওপর ধানের চারা রোপণ করে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

রাস্তার ওপর ধানের চারা রোপণ করে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

165
0
ধানের চারা রোপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ছিল ভাঙাচোড়া, আর বর্ষাকালে কাদায় হাঁটাচলা দায়। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও কাজ না হওয়ায় এবার তাতে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং মানববন্ধন করেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের দড়িকাছিকাটা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মশিন্দা ইউনিয়নের দড়িকাছিকাটা পশ্চিমপাড়া মাল্লমের মোড় থেকে দড়িকাছিকাটা টোলপ্লাজা পর্যন্ত রাস্তায় জনদুর্ভোগ লাঘবে নতুন করে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার তিন শতাধিক মানুষ।

প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের দড়িকাছিকাটা পশ্চিমপাড়া মাল্লমের মোড় থেকে দড়িকাছিকাটা টোলপ্লাজা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এখন চলাচলের অনুপযোগী। এমন বেহালদশায় পড়া সড়ক সংস্কারের জন্য নানা জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।

এই সড়ক উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় এলাকার রোগী, গর্ভবতী নারীসহ সব পেশাজীবি ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাছাড়াও মাঠ থেকে ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করার একমাত্র রাস্তা এটি এবং প্রায় ১০০টি অটোভ্যান চালক এই এলাকার রয়েছে। যারা অটোভ্যান চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শিগগিরই যদি এ রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না হয় তাহলে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আলআমি, আজাহার, আমিরুল, বাচ্চু, আমিরুল, রাব্বি, আসমা, তহুরু বেগমসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো.মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মশিন্দা ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তার জন্য উদ্বর্ধন কর্তপক্ষকে বলা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রæত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।#

Previous articleনৌকার মাঝি হত্যায় আরও দু’আসামী গ্রেফতার
Next articleসিংড়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ সভা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here