Home শিরোনাম লালপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

লালপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

442
0

আশিকুর রহমান টুটুল
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই পরিবার-পরিজনকে খুশি করতে পোষাকের দোকানগুলোতে ভিড় করছে মানুষ। স্বাদ আর স্বাধ্যের মধ্যে পরিবারকে ঈদের নতুন পোষাক কিনে দিতে এখন লালপুর উপজেলার বিপনিবিতান ও গার্মেন্টসগুলিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-কাটা। শিশুদের পাশাপাশি নারী-পুরুষরা ভিড় করছে দোকনগুলোতে।
উপজেলার লালপুর বাজার, গোপালপুর বাজার ও ওয়ালিয়া বাজারের বিপনিবিতান ও গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভীড়। ঈদের আনন্দ পরিবারের সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে বিপনিবিতান ও গার্মেন্টসেগুলোতে পরিবার নিয়ে ঘুরেছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি বিপনিবিতানগুলোতে বিভিন্ন অফারের ব্যানার আর লাল-নীল আলোক স্বোজ্জায় সাজানো রয়েছে। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো। ঈদ উপলক্ষে গার্মেন্টস দোকানগুলোতে সকল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদের বেচা-কেনায় দোকানীরা এতটাই ব্যস্ত যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। নিজের পছন্দের পোশাকটি খুঁজে পেতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন অনেকে।
এবছর মার্কেট গুলোতে শিশু, তরুণ-তরুণীদের জন্য ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিচ, ফ্লোরটাচ, সিনথেটিক ফ্রক, ভারতীয় সিনেমার নায়িকাদের পোষাক, সাবিয়া জামা ও বোরকা বিক্রয় হচ্ছে। গ্যাস সিল্ক, দোতারী সিল্ক, সিল্ক জামদানী, মিরপুরের লেহেঙ্গ শাড়ী, টাঙ্গাইলের সুতিকাতান, বেনারসী কাতান, স্বর্ণ কাতান ও পাকিজা প্রিন্ট শাড়ী বিক্রয় হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। ছেলেদের রাজশাহী সিল্ক পাঞ্জাবী, ইন্ডিয়া কিউজি পাঞ্জাবী, সুতি, খদ্দর, প্রিন্ট পাঞ্জাবী, সেরওয়ানী, তৈরী শার্ট, গেঞ্জী, প্যান্ট ও শার্টের পিচ বিক্রয় হচ্ছে পাঁচশত থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রয় হচ্ছে।

এসময় ঈদে কেনা-কাটা করতে আসা লিজা নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘নিজ ও পরিবারের জন্য নতুন পোশাক কিনতে এসেছি, এখনো পছন্দ করে উঠেতে পারিনাই তাই দোকান গুলি ঘুরে দেখছি।’
লালপুর বাজারে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা রানা আহম্মেদ বলেন, ‘ঈদে নিজের জন্য একটি পাঞ্জাবী ও পরিবারের অন্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনেছি। এবছর বাজারে অনেক নতুন পোশাক এসেছে তবে দামটা একটু বেশিই নিচ্ছে।’
গোপালপুর বাজারে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা সুমাই ইসলাম বলেন, ‘আম্মু ও আব্বু কে নিয়ে ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। ছোট ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবী, আম্মুর জন্য শাড়ী, আব্বুর জন্য পাঞ্জাবী ও নিজের জন্য থ্রিপিস কিনেছে।’
গার্মেন্টসের দোকানী সোহাগ ও বিসমিল্লাহ গার্মেন্টসের মালিক আলা-আমিন সজাগ নিউজ কে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদামতো রুচিসম্পন্ন পোষাকে দোকান ভরপুর রয়েছে। দাম বেশি নেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পণ্যের মান হিসেবে এবছর দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।
বেচা-কেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ঈদের কয়েকটি দিন বাঁকি রয়েছে সে হিসেবে এবছর বিক্রয় ভালো হচ্ছে আশাকরছি এবছর ঈদের লক্ষমাত্র পুরন হবে।’

বিজ্ঞাপন:

Previous articleনিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের দাবিতে নাটোরে নারীদের মানববন্ধন
Next articleনার্সারি করে কোটিপতি নাটোরের দিপক কুমার ঘোষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here