
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি নাটোর প্রতিনিধি এবং ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার মাহাবুুবুর রহমান সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার বাকশোর আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় তিনি এই হামলার শিকার হন। নাটোর স্বনির্ভর (ইউসিসি) এর নৈশ প্রহরী মোশারফ হোসেন তার ওপর চড়াও হয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলা টিভির নাটোর প্রতিনিধি মেহেদী বাবু তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক মেহেদী বাবু ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খন্দকার মাহাবুব জানান, শনিবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে তারা দু’জন বাকশোর আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় যান। সেখানে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের নির্মানার্ধীন ঘরের অগ্রগতির খোঁজ খবর নিতে যান তারা।
এসময় সরকারী ওই জায়গায় দীর্ঘদিনের দখলদার শাহ আলমের ছেলে মোশারফ হোসেন ছুটে এসে সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় সাংবাদিক খন্দকার মাহাবুবুর রহমান প্রতিবাদ করলে মোশারফ উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা শ্যালো মেশিনের হ্যান্ডেল দিয়ে সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমানের মাথায় আঘাত করেন।
এতে মাহবুবুর রহমানের মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় সাংবাদিক মেহেদী বাবু সহ স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে এতে ভর্তি করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহমিদা লস্কর বলেন, সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমানের মাথায় কঠোর আঘাতের কারনে ডিপ হয়েছে। তার মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে ছুটে যান ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি নবিউর রহমান পিপলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, নাটোর ভিডিও জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক লিমন হোসেন সহ অন্যান্যেরা। এসময় হামলাকারীকে দ্রুত আটকের জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
এবিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জবানবন্দি নিয়েছেন। এব্যাপারে হামলাকারীকে আটক করতে ইতোমধ্যে ডিবি এবং থানা পুলিশের দুটি টিম কাজ করছে।
