
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ার বামিহাল গ্রামের ফরিদ গ্রæপের প্রধান ফরিদ উদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ফরিদ উদ্দিন সিংড়া উপজেলার শুকাস ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য।
সে বামিহাল গ্রামের কৃষক মৃত খোকা আকন্দ’র ছেলে। সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর বামিহাল বাজারে দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’জন নিহতের ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পাটগারী এলাকা থেকে ফরিদ উদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিন বেশ কয়েকটি হত্যা ও মাদক, অস্ত্র, লুটপাট সহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সুত্রে জানায়, প্রায় ২ যুগ আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সিংড়ার বামিহাল বাজারে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে হাসেম আলী ও আব্দুল মান্নান নামের দু’জনকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তখন থেকে এক গ্রুপের নেতৃত্বে আসে নিহত এই আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিন আর অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় আফজাল হোসেন।
পরে বিভিন্ন সময়ে বামিহাল বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সহিংসতায় চম্পা বেগম, শাজাহান আলী, আনসার আলী, সেলিম হোসেন, জর্জ মিয়া, আফজাল হোসেন সহ ৯জন খুন হয়। আর এই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে একাধিক গ্রুপ এবং নেতৃত্ব।
পরে নিহত আফজাল হোসেনের জায়গায় নেতৃত্বে আসে আ’লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন এবং চলতি মাসের ৯ অক্টোবর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নতুন করে আবার আশান্ত হয়ে উঠে বামিহাল বাজার এলাকা। সন্ধ্যায় দু’গ্রæপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আফতাব গ্রæপের প্রধান আফতাব উদ্দিন ও রুহুল আমিন খুন হয়।
উল্লেখ্য সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আফতাব গ্রুপের প্রধান ১নং ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত আ’লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন ও অপর গ্রুপের রুটি দোকানী রুহুল আমিন খুন হয়। পরে ১০ অক্টোবর দু’গ্রুপের ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আর এর একটি মামলার প্রধান আসামী হওয়ার পর থেকে ফরিদ উদ্দিন পলাতক ছিলেন।
