
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ার তাজপুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে তার অফিসের এক নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে রবিবার দুপরে ওই নারী নাটোর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ইউএনও এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাকিব হোসেন পলাতক রয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাকিব হোসেন তার অফিসের এক পরিবার কল্যাণ সহকারী নারীকে দীর্ঘ দিন ধরে ফোনে বিরক্ত ও কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসের কাজের কথা বলে অন্য এক কর্মীকে দিয়ে ওই ভূক্তভোগী নারীকে অফিসে ডেকে নেন রাকিব হোসেন। এসময় ব্যক্তিগত কথা রয়েছে বলে রুমের মধ্যে নিয়ে স্পর্শকাতর জায়গা হাত দেন রাকিব। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অফিস সহায়ক এসে তাকে উদ্ধার করেন। এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহায়ক কাফাজ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাকিব হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুর্শেফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তিনি গুরুদাসপুর উপজেলায় কর্মরত এবং সিংড়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ইতিপূর্বে তিনি ওই পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। আর আগামীকাল সিংড়ায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেখে ব্যবস্থা নিবেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম.এম সামিরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে গত বুধবার ভূক্তভোগী নারী তার দপ্তরে এসে ওই পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছিলেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।
নাটোর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজা খানম বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন। এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
