
বিশেষ প্রতিবেদক, সিংড়া
নাটোরের সিংড়ায় মোছাঃ আছমা খাতুন (৩০) নামের এক স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা ধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার দুর্গম পল্লী মুন্সিবাঁশবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি গ্রাম্য শালিসে রফাদফা করতে কালক্ষেপন করেন স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য মাতবরদের একটি পক্ষ। পরে সোমবার গভীর রাতে ধর্ষিতার মা জাহানারা বেগম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সহায়তা সিংড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সিংড়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা মোছাঃ আসমা খাতুন একজন স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাবা ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার কিছুটা মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মায়ের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে একা পেয়ে আসমা খাতুনকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী অবিবাহিত যুবক জয়নাল হোসেন।
বিষয়টি এলাকার কয়েক জন দেখে ফেলায় ওই যুবক তার ব্যবহ্নত মোটর সাইকেল ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষণের বিষয়টি গ্রাম্য শালিসে রফাদফা করতে কালক্ষেপন করেন স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য মাতবরদের একটি পক্ষ। বিষয়টি নিয়ে পর পর ৫ দফা বসা হলেও ওই কালপিট যুবক জয়নাল হোসেন অনুপস্থিত থাকায় সোমবার গভীর রাতে সিংড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দেয়া হয়।
এবিষয়ে মামলার বাদী ধর্ষিতার মা জাহানারা বেগম বলেন, আমি বাবার বাড়ি বেড়াবাড়ী গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ছিলাম। আর এই সুযোগে মেয়েকে একা পেয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, ধর্ষক জয়নাল হোসেনের বাড়ি তাদের বাড়ির সাথেই তাই প্রায় তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আপোষ মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে। আর ধর্ষিতা মহিলা একজন স্বামী পরিত্যাক্তা ও অভিভাবকহীন এবং তার মাথায় কিছুটা সমস্যার কারণে আমরাও সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে দোষী যুবককের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
সিংড়া থানার তদন্ত পরিদর্শক নেয়ামুল আলম বলেন, এবিষয়ে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
