
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া
সিংড়া-নাটোর মহাসড়কের বেহাল দশায় বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি ও সড়ক দূর্ঘটনা। সংস্কারের নামে যত্রতত্র ভাবে কাজের কারণে প্রায় ২০ কিলো মিটার দীর্ঘ এই সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের সিংড়ার শেরকোল ও পাচবাড়িয়া এলাকায় রাস্তা দেবে উচু-নিচু ও কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আর ভোগান্তি কমাতে মহাসড়কে ইট বিছিয়ে সংস্কার করছে নাটোর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংড়া-নাটোর মহাসড়কটি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া,রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও পঞ্চগড় জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। মহাসড়কটির বেহাল দশার কারণে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটছে। পুরো এলাকা জুড়ে সড়কে হাজারো গর্তের কারণে চলনবিলের কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের বেড়েই চলেছে ভোগান্তি। আর প্রায় ২০ কিলো মিটার খালা-খন্দে ভরা এই রাস্তা পার হলে যেন হাঁক ছাড়ছে সবাই। প্রতিদিন সহশ্রাধিক বাস, ট্রাক, মাইক্রো, পিকআপসহ বিভিন্ন
ছোট বড় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
নাটোর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বাঁশের ব্রীজ থেকে খেজুর তলা পর্যন্ত সংস্কার কাজে ব্যায় ১২ কোটি টাকা। এছাড়া ডাল সড়ক থেকে নাটোর মাদ্রসা মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়। সে সময় মহাসড়কটি সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তারপরও কর্ণপাত না করে যেনতেন ভাবে সংস্কার করা হয় মহাসড়কটি। আর সংস্কারের পর পরই আবারও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয় মহাসড়কটি। সড়ক সংকার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ইদ্রিস আলী বলেন, বড় বড় গর্তের কারণে ইট বিছিয়ে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজ দেখা
শোনার কাজে নিয়োজিত কর্মচারী মোজাফফর হোসেন বলেন, মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ কমাতে সাময়িক ভাবে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। আর এটা টিকসই বেশী বলে দাবি করেন তিনি।
বিলহালতী ত্রিমোহনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই জীবনের ঝুকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে তাকে কলেজে যেতে হয়। রাস্তার বেহাল দশায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের লক্ষাধিক জনগণকে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে নাটোর জেলা মটর মালিক সমিতি সিংড়ার সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বলেন, সিংড়া-নাটোর মহাসড়কটি উত্তরাঞ্চলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ও একমাত্র সড়ক হওয়ায় অতি দ্রুত উন্নত সড়কের আওতায় আনা উচিত। নতুবা এ অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। আর এই রাস্তার কারণে চলাচলকারী যানবাহন গুলো অকোজে হতে বসেছে।
নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ তালুকদার বলেন, রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় ভোগান্তি কমাতে আপাতত রুটিন মেইন টেইন করে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। আগামীতে এই রাস্তা টেন্ডারের প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
