পাবনা মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরেও অর্থনৈতিক কারণে ভর্তি হওয়া নিয়ে আশংকায় থাকা নাটোরের সেই অদম্য মেধাবী সুমাইয়া হোসেন শামার ভর্তির যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন নাটোর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের হারিগাছা গ্রামে সুমাইয়ার হাতে ভর্তির যাবতীয় খরচ তুলে দেয়া হয়। এসময় সুমাইয়ার বাবা শাহাদত হোসেন, মা শামীমা আক্তার ও ঢাকা পোস্টের নাটোর প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী বলেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পেরে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে। আসলে আমার টাকায় ভর্তি হচ্ছে এইটার চেয়ে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ালেখা করবে এটাই বড় কথা। আমরা তো জনগণের জন্যই রাজনীতি করি। গতকাল ঢাকা পোস্টের সংবাদটি আমার নজরে আসলে আমি তখনই সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, খোঁজখবর নিয়েছি। মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। মেডিকেলে লেখাপড়া চলাকালীন সময়েও সুমাইয়ার পাশে থাকার আশ্বাস দেন এই বিএনপি নেতা।
সুমাইয়ার বাবা শাহাদত হোসেন বলেন, সহায় সম্পত্তি বলতে তেমন কিছু নেই আমার, সুমাইয়া ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। সম্প্রতি পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয়েছে তার। কিন্তু অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে তার ভর্তির খরচ যোগানো নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু বিএনপি নেতা বাবুল ভাই ভর্তির যাবতীয় খরচ প্রদান করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই ঢাকা পোস্ট সহ সকল গণমাধ্যমকে।