
এ কে সরকার শাওন
সমাজ, জাতি ও দেশের জন্য একটি অভিশপ্ত ও ক্ষতিকারক বাক্য, “স্যার, আপনি এ নিয়ে টেনশন করবেন না! আমি দেখছি!” এই যিনি দেখছেন বললেন তাদের ৯০%ই কিন্তু মোস্তাক বা মীর জাফর টাইপের। সে আপনার গণেশ উল্টে দেবে চোখের নিমিষে! আমাদের হলগুলোতে তাই হচ্ছে!
হলের মধুর জীবনের শুরুটা খুবই দুঃখ, অমানবিক ও বেদনাদায়ক!
হলে নৈরাজ্য আমাদের মহান অর্জন। ১৯৭৫ এর পর ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই বাড়ছে। কমছে না! সামনে মাইক্রোফোন পেলে একেক জন ফেরেস্তার মত কথা বলি! সিংহভাগই ভণ্ডামি! অসহায় ছাত্রদের পাশে কেউ নেই। একজন সাধারন ছাত্র যেই ভাইয়া নামক গুন্ডাকে ( দেখলে মনে হবে ফেরেশতা ) আপন মনে করে সে আসলে হার্মাদ জল্লাদ। নিতান্তই নিরুপায় হয়ে একজন হলে থাকে। গুন্ডারা এক রুমে মদ-গাজা-মাদক-নারী-মারণাস্ত্র নিয়ে একা থাকে।
মেধাবী ছাত্ররা ৮/১০ জনে এক রুমে কোন মতে মাথা গুজে রয়। পড়তে গেলে বাঁধা! ক্লাসে যেতে বাঁধা! উৎসবে বাঁধা, আনন্দ-আড্ডায় বাঁধা! খাবার টেবিলে বাঁধা! হাত-মুখ-সাধ-আহ্লাদ সব বাঁধা! এক কথায় বলতে গেলে আমাদের শত আদরের সোনামনিরা একেকটা গুন্ডার ক্রীতদাস! মিছিলে চাঁদাবাজিতে যেতে হবে!গুন্ডাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ সবাই। বিচার দিলে টর্চার সেলে ডাক পড়বে! সেখানে মদ, মারণাস্ত্র, হকিলাঠি, ক্রিকেটের লাঠি, শোন,ভোর, কিরিচ, কেচি মরিচের গুড়া ইত্যাদি আছে।
রামগুন্ডার ইচ্ছেমাফিক ঐগোলোর যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রে মন্দের তোষণ শিষ্টের দমন হচ্ছে! প্রভোষ্ট? হো হো হো। খুব খারাপ ভাষায় গালি দিতে পারলে মনটা জুড়াতো। গায়ে ভদ্রতার শাল জড়িয়ে আছি তাই পারছি না। অাসলে সমাজ ও দেশ অপরাধীদের কারনে নষ্ট হয় না, নষ্ট হয় ভদ্রতার শাল গায়ে দেয়া নন্দলালদের জন্য। যাই হোক বলছিলাম অসহায় সহজ সরল ছাত্রের কথা। গ্রাম গঞ্জ থেকে আগত ১০ টি ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। চিত্রটা কত ভয়াবহ! ছাত্রীদের রাজনীতি!!!! হো হো হো! সাজুগুজু হয়ে ভাইয়া নামক গুন্ডাদের সাথে লং ড্রাইভে না গেলে কোন পদ পদবী মিলবে না! তা সে যতই যোগ্যতাসম্পন্ন বিদুষী মহিলা হোক! বর্তমান সরকারের প্রতি আমি আশাবাদী।
তৈলবাজদের কথা না শুনে পত্রিকার প্রতিটি রিপোর্ট মিডিয়ার সৃষ্টি এ ধরনের ফাউল কথা না বলে; সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ আমলে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। ধামাচাপা ও মলম না দিয়ে মূল সমস্যার সমাধান করতে হবে । তাহলেই নতুন ইতিহাস রচিত হবে। শ্রদ্ধা আর ভালসার সাথে উচ্চারিত হবে সমাজ সংস্কারকের নাম!
