
বিশেষ প্রতিবেদক:
দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন সহ অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা নিয়ে নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল এমপির সাথে বিরোধ চলে আসছে লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের। বর্তমানে লালপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে বিরোধ এখন তুঙ্গে। বিরোধের কারনে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন প্রোগ্রামও করছে দলটির দুই গ্রুপ।
তবে দলের নেতা-কর্মীদের সাথে এমপি বকুলের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্র পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করলেও সে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু এবং সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলীর সাথে এমপি বকুলের বিরোধ দিন দিন প্রকট আকার ধারন করছে লালপুরে।
বুধবার রাতে কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। এসময় লালপুর উপজেলার বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের স্বেচ্ছাচারিতা, দলের অভ্যন্তরনে বিরোধ সৃষ্টি, দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন সহ নানা বিষয়ে নালিশ করেন তারা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বলেন, এমপি বকুলের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে দলের হাইকমান্ড আমাদের অভিভাবক হানিফ ভাইকে বলেছি। তাছাড়া পৌর নির্বাচন নিয়ে আমরা কি ভাবে প্রার্থীদের নাম ঢাকায় প্রেরণ করেছি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইসাহাক আলী বলেন, এমপি বকুল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাথে তিনি কোন সমন্বয় করে চলেন না। তিনি এক তরফা যা, খুশি তাই করছেন। দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের কোন মূল্যায়ন করেন না। দলের হাইকমান্ড রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ভাই সমন্বয় করে চলার কথা বললেও, এমপি বকুল সে নির্দেশনা মানেনি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, এমপি বকুল যা করছে, তা কি ভাল কাজ করছে। আমরা তার উপস্থিতিতেই তার বিরুদ্ধে কথা বলি, কোন লুকোচুরিতে বলি না। দলের হাই কমান্ড হানিফ ভাইকে আমরা দলীয় কর্মকান্ড এবং এমপির স্বেচ্ছাচারিতার কথা বলেছি।
