Home শিরোনাম হালতিবিলে সীসা তৈরির কারখানা, হুমকির মুখে পরিবেশ ও ফসল

হালতিবিলে সীসা তৈরির কারখানা, হুমকির মুখে পরিবেশ ও ফসল

65
0
সীসা তৈরী

ফজলে রাব্বী, নলডাঙ্গা:
শস্য ভান্ডার খ্যাত নাটোরের নলডাঙ্গার হালতি বিলে গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন সীসা গোলানোর কারখানা। কোন ধরনের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই অকেজো ব্যাটারী গলিয়ে তৈরি করছে সীসা। এ কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও ফসলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। অ্যসিড গ্যাস বাতাসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে হুমকির মুখে পড়তে পারে জীবিবৈচিত্র।

উপজেলার হালতি বিলের মাধনগর-খোলাবাড়িয়া সড়কের পাশে বানিয়াপুকুর এলাকায় সীসা গলানোর কারখানাটি গড়ে তুলেছেন বগুড়ার মকলেছুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ ধরনের কারথানায় কোন অনুমোদন নাই।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর-খোলাবাড়িয়া সড়কের পাশে বানিয়াপুকুর এলাকায় গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন সীসা গলানোর কারখানা।কারখানার ভিতরে ৮-১০ জন শ্রমিক পুরানো অকেজো ব্যাটারির উপরের অংশ খুলে প্লেট বের করছেন। কেউ ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে সংরক্ষণ করছেন।

শ্রমিকরা জানান, অ্যাসিড মিশ্রিত ব্যাটারির প্লেট ও বজ্যগুলো চুল্লির মধ্যে সাজানো হয়।এরপর কাঠ ও কয়লায় আগুন দিয়ে সেগুলো গলিয়ে তৈরি হয় সীসার।মাধনগর গ্রামের দুলাল সরকারের ১০ শতক জমি বাৎসারিক ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে এ অনুমোদনহীন এ কারখানা চালু করেছে বগুড়ার মকলেছুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। রাতদিন চলছে সীসা গলানোর কাজ। আর এতে কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও ফসলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। হুমকির মুখে পড়তে পারে জীবিবৈচিত্র।

চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্যাটারির বজ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে তা আশেপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জিং সৃষ্টি করে।এর ফলে মানসিক বিকৃতি,রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসহ ক্যান্সার পযন্ত হতে পারে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে,কৃষি জমিতে কোন কারখানা করতে কৃষি অফিসের প্রত্যায়নপত্র লাগে।কিন্ত এ ধরনের কারখানায় কোন প্রত্যায়ন পত্র দেওয়া হয়নি।ওই কারখানার আশে পাশে রয়েছে ফসলি জমি।ফলে এ কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও ফসলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।স্থানীয় কৃষকরা এ কারখানা দ্রুত বন্ধের দাবী জানান।

এ কারখানার মালিক মকলেছুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।তবে এ কারখানার ম্যানেজার আতিক বলেন,শুধু ট্রেড লাইন্সেস আছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন নাই।

মাধনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন,আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার ট্রেড লাইন্সেস দেওয়া হয়নি।

নাটোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা বলেন,নলডাঙ্গার হালতি বিলে সীসা তৈরির কারখানায় কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

Previous articleনাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আ’লীগের ৫জন আহত
Next articleবিএনপি ক্ষমতায় গেলে চাকুরিচুত্য পুলিশ সদস্যদের পুর্নবাসন করা হবে-দুলু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here