
বিশেষ প্রতিবেদক:
৩০রকম পাখির মাংস দিয়ে রসনা বিলাস করতে ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম। তার পাখির মাংসের স্বাদ নিতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসতেন ভোজন বিলাসীরা। পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারী চাকুরিজীবী সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ হাফিজুল ইসলামের দোকানে পাখির মাংসের স্বাদ নিয়েছেন। তাই তার দাম্ভিকতাও ছিল অন্য রকমের। প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যক্তিই তার কিছু করতে পারবে না।
অবশ্যই হাফিজুল ইসলামের সেই দাম্ভিকতা আর ঠিকতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত পাখির মাংস বিক্রির অপরাধে ঠাঁই হয়েছে শ্রী ঘরে।
শনিবার বিকেলে নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফ-উল-আরেফিন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয় নাটোরের হয়বতপুর এলাকার অর্জুনপুর গ্রামে। অবৈধ ভাবে পাখির মাংস বিক্রির অপরাধে বণ্য প্রাণী আইন অনুয়ায়ী এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। হাফিজুল ইসলাম অর্জুনপুর গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে হাফিজুল ইসলাম অর্জুনপুর গ্রামে পাখির মাংসের ব্যবসা করে আসছিল। তার এই দোকানে প্রতিদিন রাতচোরা, বাঘারি, ঘুঘু, ডাউক, চাকলা,বালিহাঁস,শামুকখোল,বক সহ অন্তত ৩০প্রকার পাখির মাংস বিক্রি হতো। পাখির মাংসের স্বাদ নিতে প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে ভীড় জমে হাফিজুল ইসলামের দোকানে। পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারী চাকুরিজীবী সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পাখির মাংসের স্বাদ নেয়।
হাফিজুল ইসলাম বলেন, সব শ্রেণী পেশার মানুষ তার দোকানে এসে পাখির মাংস খেতে আসতো। ব্যবসাও জমজমাট ছিল। কিন্তু পাখি ধরা বা বিক্রি করা অপরাধ এই বিষয়ে কেউ কখনও আমাকে সচেতন করেনি। আমি এতদনি অপরাধ করেছি, আর কখনও করবো না।
এদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে হাফিজুল ইসলামের পাখির মাংসের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফ-উল- আরেফিন। অভিযানে চারটা বকের চপ, বালিহাঁস দুটা, চড়ুই পাখি ৫০টা পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে নস্ট করা হয়। আর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ২০১২ সালের ৬ এর ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এক বছরের জেল দেয়া হয় হাফিজুল ইসলাম কে।
