তীব্র গরমে উত্তরের জনপদে পানির সংকট

চলমান তাপপ্রবাহের সঙ্গে উত্তরের জনপদে পানির সংকট যুক্ত হয়েছে। টিউবওয়েল থাকলেও অনেক বাড়িতে সুপেয় পানি মিলছে না। মাটির নিচে গর্ত খুঁড়েও ডিজেল পাম্পে জুটছে না সেচের জল। তৃষ্ণা মেটাতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

কিন্তু দিনকে দিন রুটি-রুজির সেই কৃষিতে যোগ হচ্ছে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। যার মধ্যে বোরো মৌসুমে জমিতে সেচের জন্য এখন বাড়তি খরচের সাথে যোগ হয়েছে দুর্ভোগ আর কষ্ট। এই যেমন ভুট্টু মিয়ার মতো কৃষকদের অনেকে মাটি খুঁড়ে ডিজেলচালিত পাম্প বসিয়ে বোরো আবাদ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

পানি না ওঠায় বছর ছয়েক আগে সংকট মোকাবিলায় নিজেদের বুদ্ধিতে মাটি খুঁড়ে মেশিন বসিয়ে পানি উত্তোলন করলেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করেছে।

এক কৃষক বলেন, ‘প্রথমে পাঁচ-ছয় ফুট গভীর করে স্যালো মেশিন বসালাম। তখন পানি পেতাম, কিন্তু দিনের পর দিন পানি আর ওঠে না। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে সাবমার্সবল পাম্প বসাতে হচ্ছে। খরচও বেশি হচ্ছে।’

সেচের পাশাপাশি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ ও নরেঙ্গাসহ আশেপাশের গ্রামগুলোর টিউবওয়েলে সুপেয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। টানা পাঁচ মিনিট টিউবওয়েল চাপার পর মগ ভরাতে ঘাম ঝড়াতে হয় গ্রামবাসীকে। সামর্থ্যবানরা সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানি পেলেও খুকি ও বিউটি বেগমের মতো গরিব মানুষদের পানির ভরসা করতোয়া নদী। প্রতি বছর ফাল্গুন থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ সময় পর্যন্ত এমন দুর্ভোগে পড়লেও এ অঞ্চলে এবার প্রকট আকার ধারণ করেছে পানির সংকট।

Check Also

চাচার জোরে বিএনপির জনসভা মঞ্চে পলকের শালিক!

নাটোরে সিংড়ায় উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভার মঞ্চে দেখা গিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *