নাটোর: নাটোরে নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন অতিক্রম করায় অন্তত অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ফলে বিকল্প ট্রেন না থাকায় গন্তব্যস্থানে যেতে পারেনি যাত্রীরা। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। গতরাত ১২টার দিকে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগি যাত্রীদের অভিযোগ ‘ চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে প্রবেশ করে। কিন্তু ট্রেনটি না থেমেই ১২ টা বাজতেই স্টেশন ছেড়ে যায়। অথচ প্লাটফর্মে ৩মিনিট দাঁড়ানোর কথা। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারে না পারার পাশাপাশি অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতেও পারেনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা।
সোহেল রানা নামে এক যাত্রী বলেন, সিমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ ঘন্টা লেটে আসে নাটোর স্টেশনে। নাটোর স্টেশনে ১১ টা ৫৯ মিনিটের দিকে ঢুকে ১ মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে আমি সহ অনেক যাত্রী উঠতে পারি না। আমার সামনে দুইজন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামে, যারা আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারে না। আমাদের কথা হচ্ছে, ট্রেনতো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল। এর দায়টা কার। আমরা স্টেশন মাস্টার কে বললে তিনি কোন জবাব দেন না।
তবে ওই রুটে বিকল্প কোন ট্রেন না থাকায় বেশির ভাগ যাত্রী তাদের গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারেনি। বিয়ষটি রাতেই কন্ট্রোল রুম কে জানানো হয়েছে বলে জানান স্টোশন মাস্টার শামীম হোসেন।
তিনি বলেন’ গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই, গার্ডের দেখার বিষয় প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্সের। সেটা গার্ড দেখেনি।